adv
২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইমরুল আউট তামিম আছেন, কী হবে কাল ?

full_898591458_1431086574নিজস্ব প্রতিবেদক : চাইলেই মিসবাহ-উল-হক বাংলাদেশকে ফলোঅন করাতে পারতেন। ম্যাচের লাগাম তার হাতেই। ঢাকা টেস্টে দ্বিতীয়বার ব্যাট করবেন কি করবেন না, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ছিল পাকিস্তান অধিনায়কের। কিন্তু ফের ফিল্ডিং করতে চাইলেন না পাকিস্তান অধিনায়ক। ৩৫৪ রানের লিড নিয়ে আবারও ব্যাটিং করতে নামল মিসবাহর দল।
হয়তো বোলারদের কিছুটা ‘বিশ্রাম’ দিতেই টানা দ্বিতীয়বার ফিল্ডিং করতে চাননি মিসবাহ। এমন নয় বোলাররা খেটেখুটে ক্লান্ত। বাংলাদেশের ইনিংসের আয়ু ৫০ ওভারও টেকেনি। মাত্র ২০ ওভারের মতো বোলিং করেছে পাকিস্তান। কিন্তু মিসবাহ ফলোঅন না করিয়ে নিজেরাই নেমে গেলেন ব্যাট হাতে। উদ্দেশ্য, বাংলাদেশের ক্লান্তিই আরেকটু বাড়িয়ে দেওয়া।
কিন্তু পাকিস্তানের লিডের আকার বাড়তে বাড়তে অনেক দূর পৌঁছে গেল। তবুও ইনিংস ঘোষণার লক্ষণ নেই। পরে বোঝা গেল, সেঞ্চুরির জন্য অপেক্ষা করছেন মিসবাহ। ৭২ বলে ৮২ করে মাহমুদউল্লার বলে আউট হতেই এসে গেল ইনিংস ঘোষণা। জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ৫৫০। পাকিস্তানকে নিতে হবে ৯ উইকেট। শাহাদাতের দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাট করার সম্ভাবনা নেই।
৫৫০ তো দূরের কথা, টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে কেউ ৪৫০ তাড়া করেও জেতেনি। সর্বোচ্চ ৪১৮ রান তাড়া করার রেকর্ডটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের। কাজেই ম্যাচের আগে মুশফিকুর রহিম ‘জয়ের জন্য’ খেলার যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, বাস্তবতার বিচারে তা ভুলে যাওয়াই ভালো। বাংলাদেশ এই টেস্ট বাঁচাতেই পারে কিনা, তা নিয়েই তো বিরাট সংশয়। আরও দুটো দিন তো পড়েই রয়েছে। 
কঠিন পরীক্ষার সামনে বাংলাদেশ। আজকের দিনটা উইকেট না হারিয়ে পার করে দিতে পারলে ম্যাচ বাঁচানোর জন্য শেষ দুই দিনের ছয়টি সেশন থাকবে। খুলনায় বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে প্রায় ৫ সেশন ব্যাটিং করেছিল। তখনো হাতে ছিল ৪ উইকেট। অবশ্য খুলনার উইকেট শেষ দিনেও ব্যাটিং করার জন্য ছিল দুর্দান্ত। কিন্তু শুভাগত কাল যেভাবে বলে টার্ন করাচ্ছেন, পাকিস্তানের স্পিনারদের মুখের হাসিটা চওড়া হতেই পারে।
পাকিস্তানের পেসাররা কি হাত গুটিয়ে বসে থাকবে? প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের নয় উইকেটের (শাহাদাত ব্যাটিংয়েও অনুপস্থিত) ৫টিই নিয়েছেন পেসাররা। পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে মোহাম্মদ শহীদও দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। ২৫ রানে পাকিস্তানের দুই ওপেনারকে ফেরত পাঠিয়েছেন তিনি। আরেক পেসার সৌম্য সরকার রানটা একটু বেশি দিয়ে ফেললেও প্রথম ইনিংসের ডাবল সেঞ্চুরিয়ান আজহার আলীকে ২৫ রানে ফিরিয়ে পেয়েছেন প্রথম টেস্ট উইকেট। পেতে পারতেন ইউনিস খানের উইকেটটিও। তাইজুল ইসলাম কঠিন ক্যাচটা হাতে জমাতে পারেননি। পরে তাইজুলই ফিরতি ক্যাচে ফিরিয়েছেন ইউনিসকে।
৪৯ রানে বাংলাদেশ ফেলে দিয়েছিল পাকিস্তানের ৩ উইকেট। মিসবাহ-ইউনিস জুটির প্রতিরোধও ভাঙল দলীয় ১০৭ রানে। নিজের দ্বিতীয় ওভারে শুভাগতর দুর্দান্ত টার্নে পরাস্ত হয়ে ফিরেছেন আসাদ শফিকও। ১৪০ রানে নেই পাকিস্তানের ৫ উইকেট। কিন্তু তাতেও ম্যাচের লাগাম পাকিস্তানের হাত থেকে এতটুকু খসে যায়নি। পরে মাহমুদউল্লাহর শিকার মিসবাহ। প্রথম ইনিংসে ১৩৬ রান দিয়ে মাত্র ১ উইকেট, দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে উইকেটশূন্য। তবুও মনে হচ্ছে, মিসবাহর উইকেটটা সাকিব পেলে সেটাই হতো ন্যায়বিচার। খুলনায় নিজের ইচ্ছাতেই সেঞ্চুরিটা করেননি। আর এদিন  নিঃসঙ্গ লড়াইয়ে সঙ্গীর অভাবে অপরাজিত থাকলেন ৮৯ রানে।
নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের ভাবনায় এখন ম্যাচ বাঁচানো। কিন্তু সেটা করতে হলে পাড়ি দিতে হবে দীর্ঘ বন্ধুর পথ। খুলনা টেস্টের সঙ্গে এ টেস্ট মেলানো ঠিক হবে না হয়তো। পরিস্থিতি, উইকেটের চরিত্র সবই আলাদা। 
 

 

জয় পরাজয় আরো খবর

adv
সর্বশেষ সংবাদ
সাক্ষাতকার
adv
সব জেলার খবর
মুক্তমত
আর্কাইভ


বিজ্ঞাপন দিন

adv

মিডিয়া