নাইজেরীয় নারীদের পাথর ছুঁড়ে হত্যা করে বোকো হারাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নাইজেরীয় নারীদের পাথর ছুঁড়ে হত্যা করে বোকো হারাম। বোকো হারামের হাত থেকে উদ্ধার হওয়া বেশ কয়েকজন নারী এসব বলেন। বোকো হারামের হাতে বন্দি থাকা এসব নারীরা সংবাদ মাধ্যমকে বন্দি থাকার করুন কাহিনী বর্ণনা করেছেন। এদের কাহিনী থেকে বোঝা যায় বোকা হারাম সংগঠন হিসেবে কতটা নিষ্ঠুর ছিল। খবর বিবিসির।
উদ্ধার হওয়া নারীরা বলছে, নাইজেরিয়া সেনাবাহিনীর সৈন্যরা যখন বোকো হারামের কাছাকাছি চলে আসে তখন বোকো হারামের সদস্যরা বন্দি নারীদের তাদের সঙ্গে দৌড়াতে বলে।
নারীরা বোকো হারামের সঙ্গে দৌড় না দিয়ে নাইজেরিয়া সেনাবাহিনীর দিকে দৌড় দিলে পাথর ছুড়ে নারীদের মারতে থাকে বোকো হারাম। এভাবে বেশ কয়েকজন নারীকে পাথর ছুড়ে মেরে ফেলেছে বোকো হারাম। বাকীরা নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হয়।
সম্প্রতি নাইজেরিয়া সেনাবাহিনী দেশটির সামবিসা জঙ্গলে অভিযান চালিয়ে ৩০০ নাইজেরীয় নারী ও শিশুকে উদ্ধার করে। এ পর্যন্ত ৭০০ নারী শিশুকে উদ্ধার করেছে নাইজেরিয়া সেনাবাহিনী। এরা সকলে বোকো হারামের দ্বারা অপহৃত হয়েছিল।
উদ্ধার হওয়া নারীরা বলে, অপহরণের আগে তাদের সামনেই বোকো হারাম তাদের পরিবারের পুর“ষ ও বেশি বয়সী ছেলে হত্যা করে। তারপর তাদেরকে হাত বেঁধে জঙ্গলে নিয়ে যায়। বোকো হারাম তাদেরকে চোখে চোখে রাখত। এমনকি নারীরা পায়খানায় যাবার সময়েও নজর রাখত বোকো হারাম।
প্রতিদিন বোকো হারাম নারীদের নিম্নমানের খাবার দিত। ওসব খাবার ঠিকমত হজম হতো না। প্রতিদিন একজন করে বন্দি নারীর মৃত্যু হতো। অনেকে নারী বন্দির সঙ্গে বোকো হারাম জোর পূর্বক বিয়ে করত। ২৪ বছর বয়সী ২ সন্তানের মা উমারো বার্তা সং¯’া রয়টার্সকে এসব বলে। তিনি বোকো হারামের হাতে বন্দি ছিলেন।
a