adv
২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগামী অর্থবছর এডিপিতে থাকবে এক লাখ কোটি টাকা বরাদ্দ

adb_62915_0নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) এক লাখ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, আগামী বছর মোট এডিপির মধ্যে মেগা প্রকল্পগুলোতে বরাদ্দ দেয়া হবে ২০ থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকা। আগামী অর্থবছর শেষে এসব মেগা প্রকল্পগুলো দৃশ্যমান হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সেমাবার পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সর্বোচ্চ বরাদ্দপ্রাপ্ত ১০ এবং ব্যয় বিবেচনায় সর্বনিম্ন অগ্রগতি সম্পন্ন ১০ মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
বৈঠকে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগে চলতি অর্থবছরের বাস্তবায়ন কার্যক্রম দেখে আগামী বছরের বরাদ্দ দেওয়া হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) জনবল বৃদ্ধিসহ সক্ষমতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সচিবদের নির্দেশনা দেন। আইএমইডির কর্মকর্তার সংখ্যা ৭৮ থেকে ১২০ এ উন্নীত করার কাজ চলছে বলে তিনি জানান।

মুস্তফা কামাল বলেন, ঢাকা শহরসহ বড় বড় শহরের নামীদামি স্কুলগুলোতে ভর্তি সংকট প্রকট। এজন্য সরকার এসব স্কুলগুলোর ভবন ১৫ থেকে ২০ তলা পর্যন্ত ঊর্ধ্বমূখী সম্প্রসারণ করবে। আগামী অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ দেয়া হবে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, নতুন এই প্রকল্প চালু হলে দুই লাখ ছাত্র-ছাত্রী নতুনভাবে ভর্তির সুযোগ পাবে। গ্রামের স্কুলগুলোও তিন থেকে চার তলা করা হবে বলে তিনি জানান।
মন্ত্রী আরো বলেন, পরীক্ষার জন্য কোনো স্কুল বন্ধ থাকবে না। পরীক্ষা নেওয়ার জন্য স্কুল খোলা রেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখা হবে। এ বছর সংশোধিত এডিপি শতভাগ বাস্তবায়ন করা যাবে বলে তিনি মনে করেন।

দেশে বিদ্যমান মহাসড়কগুলোর কাছে বিক্ষিপ্তভাবে গড়ে উঠা গ্রামীণ হাটবাজার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারি উদ্যোগে প্রকল্পের আওতায় মহাসড়কের পাশে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে হাটবাজার করে দেবে সরকার।
মন্ত্রী আরো বলেন, আগামীতে সংসদ সদস্যদের অগ্রাধিকার দিয়ে একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হবে। এ প্রকল্পের আওতায় একজন সংসদ সদস্য পাঁচ বছরে মোট ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ পাবে। তবে তিনি সরাসরি একটি টাকাও ব্যয় করতে পারবেন না। তিনি তাঁর চাহিদা এলজিইডিকে জানাবেন। এলজিইডি প্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করবে। সব এলাকার জন্য এই বরাদ্দ সমান হবে।
বৈঠকে মুস্তফা কামাল বলেন, এখন থেকে একজন প্রকল্প পরিচালককে (পিডি) একটি প্রকল্পের দায়িত্ব দেওয়া হবে। তবে যেসব প্রকল্প দেশব্যাপী বাস্তবায়িত হয়, যেমন একটি বাড়ি একটি খামার-সেখানে একজন এনপিডি (জাতীয় প্রজেক্ট ডাইরেক্টর) নিয়োগ দেওয়া হবে। তাঁর অধীনে ৭ জন ডেপুটি থাকবেন।

জয় পরাজয় আরো খবর

adv
সর্বশেষ সংবাদ
সাক্ষাতকার
adv
সব জেলার খবর
মুক্তমত
আর্কাইভ


বিজ্ঞাপন দিন

adv

মিডিয়া