adv
২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সাইফ আলী খানের পৈতৃক সম্পত্তি হাতছাড়া হচ্ছে

jakia..saif_60816ডেস্ক রিপোর্ট :  পৈতৃক সম্পত্তি হাতছাড়া হতে পারে বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খানের। পতৌদি পরিবারের সঙ্গে ভারতের মধ্যপ্রদেশ সরকারের মামলা চলছে বিশেষ এস্টেটের অধিকার নিয়ে। তবে এস্টেট মানে শুধুই জমিজমা নয়, এর মধ্যে রয়েছে প্যালেস, কিছু বাড়ি এবং কৃষিজমিও। এস্টেটটি রয়েছে ভোপালের চারপাশে রাইসিন ও শোর টাউনের বেশ কিছু জমিজমাও এর অন্তর্গত।
সরকারের পক্ষে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে , এই এস্টেটটি সরকারি জমির অন্তর্গত। পতৌদি পরিবারের পক্ষে সাইফ আলি খানও আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে।
তবে খবরের শেষ এখানেই নয়, এই পরিস্থিতিতে একটি বিশেষ আইনের কারণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
১৯৬৮ সালের ওই বিশেষ আইনটিতে বলা হয়েছে , ১৯৪৭ সালের পর মহারাজা এবং নবাবদের সম্পত্তি রাজ্য সরকারের মালিকানাধীন হয়ে যাবে। ১৯৬১ সালে এই বিশেষ এস্টেটটি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিলেন সাইফের দাদী সাজিদা সুলতান। সম্পত্তিটি এর আগে ছিল ভোপালের শেষ নবাব হামিদুল্লা খানের অধিকারে। সাজিদা তার দ্বিতীয় সন্তান। হামিদুল্লার মৃত্যুর পর সম্পত্তির মালিক হন সাজিদা। সাজিদার সঙ্গে বিয়ে হয় ইফতিকার আলি খানের। ইফতিকার ছিলেন পতৌদি পরিবারের অষ্টম নবাব, বিবাহসূত্রেই ভোপালের এই বিশেষ এস্টেটটি পতৌদি পরিবারের হাতে আসে। তারপর থেকে পতৌদিরা ওই বিশেষ এস্টেটের অধিকার পান এবং হামিদুল্লার ওই বিশেষ সম্পত্তির ওপর পতৌদি পরিবারের অধিকার পাকা হয়।
সাইফ এবং তার পরিবার বর্তমানে ওই বিশেষ সম্পত্তি নিজেদের অধিকারে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন, যদিও সরকারের পক্ষে স্পষ্টই বলা হচ্ছে, ভারতের স্বাধীনতার পর নবাব বা মহারাজাদের এই ধরনের সম্পত্তি আইন বলেই সরকারের হাতে আসা উচিত। কারণ ভোপালের নবাব নিজের সব সম্পত্তি সরকারকে দিয়ে দিয়েছিলেন, সেই হিসাবে এই সম্পত্তির মালিক রাজ্য সরকারেরই হওয়া উচিত।

 

জয় পরাজয় আরো খবর

adv
সর্বশেষ সংবাদ
সাক্ষাতকার
adv
সব জেলার খবর
মুক্তমত
আর্কাইভ


বিজ্ঞাপন দিন

adv

মিডিয়া