adv
২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাখে আল্লাহ মারে কে – ৬৬ দিন সমুদ্রে ভেসে থাকার পর জীবিত উদ্ধার

atlantic news limon_60706আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাখে আল্লাহ মাওে কে, কথাটি আবারও প্রমাণিত হলো।,যে লোকটি দীর্ঘ ৬৬ দিন সমুদ্রে ভেসে থেকে জীবন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে যায়, তাকে আল্লার দানই বলতে হবে। নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে পড়েও বেঁচে থাকা যায় তার প্রমাণ দেখালেন লুইস জর্ডান। আটলান্টিক ঝড়ে ডুবে গিয়েছিল জর্ডানের মাছধরা নৌকা এঞ্জেল। ৬৬ দিন দিশাহীনভাবে সমুদ্রে ভেসে বেড়ানোর পর তাঁকে উদ্ধার করে মার্কিন উপকূলরক্ষী বাহিনী।
২৩ জানুয়ারি সাউথ ক্যারোলিনার কনওয়ে থেকে আটলান্টিকে মাছ ধরতে বেরিয়েছিলেন ৩৬ বছর বয়সী লুইস জর্ডন। মাত্র কয়েকদিন পরেই সমুদ্রে ঝড়ের মুখে পড়ে তাদের মাছধরা নৌকা এঞ্জেল। ঝড়ের দাপট সামলাতে না পেরে উল্টে যায় পুরনো নৌকাটি। কোনোরকমে বেঁচে যান জর্ডান। তারপর উল্টোনো নৌকার হাল আকড়ে আটলান্টিকের বুকে ভেসে তার বেঁচে থাকার লড়াইয়ের শুরু।

২৯ জানুয়ারি মার্কিন উপকূলরক্ষী বাহিনীর কাছে জর্ডনের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার কথা জানান তার বাবা। এরপরে নিখোঁজ নৌকাটির সন্ধানে তল্লাশি শুরু করে কোস্টগার্ড। কিন্তু দিন দশেক খোঁজাখুজির পর জর্ডান বা তার নৌকার সন্ধান না পেয়ে হাল ছেড়ে দেয় তারা।

ধরেই নেওয়া হয়েছিল লুইস জর্ডন আর বেঁচে নেই। নৌকাডুবির ৬৬ দিন পরে নর্থ ক্যারোলিনার কেপ হাতেরাসের ২০০ মাইল পূর্বে আটলান্টিকের বুকে হঠাতই একটি জার্মান মালবাহী জাহাজের নজরে আসেন জর্ডান। তারাই উদ্ধার করে তাকে।
এরপর মার্কিন উপকূলরক্ষীবাহিনী হেলিকপ্টার জর্ডানকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। নৌকাডুবির পর ছোট্ট একটা জাল পেয়েছিলেন জর্ডান। আটলান্টিকের বুকে ভেসে থাকার সময় তার খাদ্য ছিল সেই জালে ধরা কাঁচা মাছ আর বৃষ্টির পানি। ক্ষুধা বা পিপাসার সঙ্গে যুদ্ধ করে রীতিমত হিসেব করে খেতে হত জর্ডানকে। তবে মৃত্যুর মুখ থেকে পরিবারের কাছে ফিরতে পেরে সেসব কষ্ট তুচ্ছ হয়ে গেছে তার কাছে।


কাঁধে সামান্য চোট নিয়ে আপাতত ভার্জিনিয়ার নরফোকে এক হাসপাতালে ভর্তি জর্ডন। বড় মাছ ধরার লক্ষ্য নিয়ে আটলান্টিকে ভেসেছিলেন লুইস জর্ডান। মাছ ধরতে না পারলেও মৃত্যুঞ্জয়ী  নায়ক হিসেবেই ফিরে এসেছেন তিনি।

জয় পরাজয় আরো খবর

adv
সর্বশেষ সংবাদ
সাক্ষাতকার
adv
সব জেলার খবর
মুক্তমত
আর্কাইভ


বিজ্ঞাপন দিন

adv

মিডিয়া