adv
২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনের আগে কার্যালয় খুলে দেয়া ও সেনা মোতায়েনের দাবি বিএনপির

_6_60405_0নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার ও চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন উপলক্ষে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের পুলিশের হয়রানী বন্ধ এবং দলীয় কার্যালয় খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। এছাড়া সন্ত্রসী কার্যক্রম রোধে নির্বাচনের আগেই সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবিও জানান তারা।
বুধবার বিকাল সাড়ে চারটার সময় নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমদের (সিইসি) সঙ্গে দেড় ঘন্টা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) আ স ম হান্নান শাহ।
এর আগে বিকাল ৩টার সময় হান্নান শাহসহ সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে পৌঁছায়। হন্নান শাহ ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দির সরকার, ইসির সাবেক সচিব আবদুর রশিদ সরকার, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এ এস এম আবদুল হালিম, মুশফিকুর রহিম, সৈয়দ সুজা উদ্দিন অহমেদ ও সাবেক যুগ্মসচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার উপস্থিত ছিলেন।
সিইসির সঙ্গে দেখা করার কারণ জানতে চাইলে হান্নান শাহ সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের অফিসগুলো তালাবদ্ধ রাখা হয়েছে। সিইসিকে বলেছি সে বিষয়ে যেন পদক্ষেপ নেয়। বেআইনী কার্যক্রম যাতে না হয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে বলেছি।
তিনি বলেন, নির্বাচনে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড যাতে না হয় সে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। পোলিং অফিসাররা যেন নিজ দলের কর্মী না হয়, বিতর্কিত কর্মীদের যাতে দায়িত্ব প্রধান থেকে বিরত রাখা হয়। পোলিং অফিসারদের লিস্ট করে আগে থেকেই সবাইকে জানাতে হবে। এছাড়া সন্ত্রসী মোকাবেলায় ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রসহ নির্বাচনের আগে সেনাবাহিনী মোতায়েনের অনুরোধ জানিয়েছি।
হান্নান শাহর পাশে থাকা জমিরউদ্দিন সরকার এ সময় বলেন, প্রশাসন নির্বাচনের সময় কমিশনের কথা শুনবে এটা সংবিধানেই বলা আছে। পার্টি অফিস পল্টন, গুলশানে। এটা পরিষ্কার করে বলেছি ‘ফান্ডামেন্টাল রাইট টু এন্টার এনিহোয়ার’।
দেশে এখন মামলায় এজাহার করে নাম দেয়া ১০টা লোকের। আর অজ্ঞাতনামা আছে দুই হাজার লোক। অজ্ঞাতনামা কাউকে ধরে নিয়ে গেলে তারা ভোট দিতে পারবে না। এরকম যাতে না করে, তাদের যেন গ্রেপ্তার করে হয়রানি করা না হয় সে ব্যপারে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
এছাড়া কোন লোক যদি জামিনে থাকে এবং ধরে নিয়ে গিয়ে যদি বলে তার জামিন সম্পর্কে জানি না, তাহলে তো আর হবে না। যতোক্ষণ কেউ গিলটি না হবে ততোক্ষণ পুলিশ কাউকে ধরতে পারবে না। জামিনে যারা আছে তাদের ধরতে পারবে না এবং অজ্ঞাতনামা বলে ধরতে পারবে না সে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
সন্ত্রাসীরা যাতে প্রভাব বিস্তার না করতে পারে সে জন্য ম্যাজিস্ট্রেট এখন যা আছে তা থেকে আরো বাড়ানোর দাবি জানিয়েছি। সিইসি বলেছেন, ম্যাজিস্ট্রেট দেবেন। ভালো কর্মকর্তা দেবেন, সত অফিসার দেবেন। এছাড়া সার্বিক বিষয়ে আগামী ১৯ এপ্রিল আইন শৃঙ্খলা বৈঠকে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেবেন বলে সিইসি জানিয়েছেন। 
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিইসি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ব্যপারে মোটামুটি আশ্বস্ত করেছেন। তবে সিইসির কার্যক্রমের উপর আমাদের সন্তুষ্টি নির্ভর করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে হান্নান শাহ বলেন, আমাদের প্রার্থীরা যাতে ভোটারদের কাছে যেতে পারে এবং প্রচারণা চালাতে পারে সে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছি। কেননা প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে না যেতে পারলে ভোট কী করে হবে?
তিনি বলেন, প্রিন্টিং মিসটেক বা করনিক ভুলের কারণে আমাদের প্রার্থী মিন্টু ও পিন্টুর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। সিইসি আশ্বস্ত করেছেন নির্দিষ্ট সময়ে আবেদন করলে বিশেষভাবে বিবেচনায় নেবেন বিষয়টি। যাতে নির্বাচন সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়।
বিএনপির প্রতিনিধি দল একটি লিখিত দাবি জানান। সে দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-তিন সিটি নির্বাচনে আগ্রহী প্রার্থীদের অনেককেই মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিংবা গা ঢাকা দিয়েছে অনেকে। এসব সম্ভাব্য প্রার্থীরা যাতে মুক্ত ও প্রকাশ্যে ও নিরাপদে নির্বাচনী কার্যক্রমে চালাতে পারে সেজন্য কমিশন কী ব্যবস্থা নিবে?
প্রার্থীদের পক্ষে যারা নির্বাচনী প্রচার চালাবেন তারা মিথ্যা মামলায় কারাগারে আবদ্ধ থাকলে বা গা ঢাকা দিয়ে থাকলে তাদের নির্বিঘœ করতে কমিশন কী ব্যবস্থা নেবে?
সরকারি দল সমর্থিত প্রার্থীদের বিশেষ সুবিধা অন্যন্য প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা যুক্ত নেতা কর্মীদের আটকে প্রশাসনিক অপ্রপয়াস রোধে কমিশন কী ব্যবস্থা নেবে?
ক্ষমতাসীনদের প্রশাসনিক কিংবা পেশিশক্তির প্রয়োগকে রোধ করতে কমিশন কী ব্যবস্থা নেবে? পোলিং এজেন্টদের জীবন ও সম্ভ্রমের নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা নেবে ইসি?

 

জয় পরাজয় আরো খবর

adv
সর্বশেষ সংবাদ
সাক্ষাতকার
adv
সব জেলার খবর
মুক্তমত
আর্কাইভ


বিজ্ঞাপন দিন

adv

মিডিয়া