adv
২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবিশ্বাস্য – গাছের সঙ্গে প্রেম-যৌনতা!

love and sex with tree 2_60446_1আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রেমে পড়েছেন এমা ম্যাককেইব। তা পড়তেই পারেন। তাতে কার কী যায় আসে। এমা তো আর কোনো সেলেব্রিটি নন যে, তাঁর প্রেমের খবর কাউকে রাখতে হবে। তা হয়তো নয়। কিন্তু, তার পরও এমা খবর।
কারণ, এমা ম্যাককেইব যাঁর প্রেমে মজেছেন, টিন নামের সেই পাত্রটি পাত্র হিসেবে আর পাঁচ জনের মতো নন। টিন কোথাও গমনে মোটেও ইচ্ছুক নন। ইচ্ছুক না বলে, বলা ভালো, সে উপায় তাঁর নেই। শুনতে হেঁয়ালি মনে হলেও ষোলো আনার ওপর আঠারো আনা সত্যি। তাই টিনের সঙ্গে এমার প্রেম নিবেদন, ভালোবাসা, মান-অভিমান, খুনসুটি সবসময় একই জায়গায়!
পক্ষাঘাতগ্রস্ত? পিপুফিশু? নড়ে ভোলা? নাহ! টিন এর কোনোটাই নন। শারীরিক ভাবে যথেষ্টই সক্ষম। শক্তপোক্ত। মনের দিক থেকে ততটাই নরম, যেন মাটির মানুষ। আলাপ থেকে বিলাপ নেই। কখনো এমাকে কাঁদানওনি। রাখেননি অপেক্ষায়। বরং, নিজেই অপেক্ষা করে থাকেন এমার পথ চেয়ে!গাছের সঙ্গে প্রেম-যৌনতা! নিশ্চিতভাবেই মার্কিন তরুণী এমা টিনের প্রথম প্রেমমানবী। তবে, তিরিশের তরুণীর জীবনে টিন-ই প্রথম প্রেম নয়। এর আগেও প্রেমে পড়েছেন। একবার নয়। কয়েক বার। তাঁর যে বয়ফ্রেন্ড ছিল, সে কথা গোপনও করেন নি। কিন্তু, কোনও না কোনও কারণে আগের একটা সম্পর্কও তাঁর টেকেনি। ভেঙেছেন। ঠকেছেন। ফল্গুস্রোতের মতো বুকে বয়ে বেড়িয়েছেন বেদনা। ফের আঁকড়ে ধরেছেন আর একটা সম্পর্ককে, খড়কুটোর মতো।
এতোক্ষণ যে টিনকে নিয়ে এতো চর্চা, সে আসলে একটি গাছ। গাছের সঙ্গে বিয়ে, নতুন নয়। জ্যোতিষ শাস্ত্রে মাঙ্গলিক দোষ কাটাতে পাত্রীর গাছের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ে হয় বট-পাঁকুড়েরও। কিন্তু, সে তো প্রতীকি। নেহাত দোষ কাটাতে। কিন্তু, আক্ষরিক অর্থেই কেউ গাছের সঙ্গে প্রেম করেন, এমনটা শোনা যায় না। প্লিজ, বৃক্ষপ্রেমীদের এর সঙ্গে গুলিয়ে ফেলবেন না।
তরুণীর স্বীকারোক্তি, ‘আমি সত্যি টিনকে ভালোবাসি। টিনকে নিয়ে আমার অনুভূতিতে এতটুকু খাদ নেই। আমি ওকে বিয়েও করতে চাই।’ এই ভালোবাসা এতটাই, আশপাশের অন্য গাছের দিকে ফিরেও তাকান না এমা। হাতও দেন না অন্য গাছে। পাছে কষ্ট পায় তার প্রেমিক টিন!গাছের সঙ্গে প্রেম-যৌনতা!
গাছকে বিয়ে করে কি সুখী দাম্পত্য জীবন সম্ভব? একটা সুস্থ শারীরিক সম্পর্ক? এমার দাবি, সম্ভব। গাছের সঙ্গে যৌন সহবাস করার কথা বলতেও কুণ্ঠা নেই তাঁর। এমার কথায়, ‘আমার মানসিক চাহিদা শুধু নয়, শারীরিক চাহিদাও পূরণ করে টিন। আমরা প্রতি সপ্তাহে যৌন সহবাস করি।’ টিনের সঙ্গে কীভাবে মিলিত হন, তার সবিস্তার বর্ণনাও দিয়েছেন।
গাছের কাছ থেকে যৌনতৃপ্তি! যা শুনে কেউ বিস্মিত, কেউ কেউ আবার বিদ্রুপও করেছেন। তা করুক, তাতে কিছু আসে যায় না এমার। এমনকি বিকৃতকাম, মানসিক ভারসাম্যহীন ভাবলেও না।
তরুণী জানান, সপ্তাহে চারবার তাঁদের দেখা হয়। কোনও কোনও দিন শুধু কথা বলেই কেটে যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কথা আর ফুরোয় না। হয়তো একেই বলে প্রেমে মজিলে মন…!

 

জয় পরাজয় আরো খবর

adv
সর্বশেষ সংবাদ
সাক্ষাতকার
adv
সব জেলার খবর
মুক্তমত
আর্কাইভ


বিজ্ঞাপন দিন

adv

মিডিয়া