adv
২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কবিরাজ রাতভর ধর্ষণ করলো ১৩ বছরের কিশোরীকে

news_img (1)ডেস্ক রিপোর্ট : জেলার ডিমলায় এক ভণ্ড কবিরাজ ১৩ বছরের কিশোরী ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনার পুলিশ ধর্ষণের সহয়তার অভিযোগে ধর্ষিতার মামা রেজাউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে।
জানা গেছে, লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা থানার ভাজনি গ্রামের ইউনুস আলীর মেয়ে পরী (ছদ্মনাম/১৩) জেলার ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানী তিস্তা নদীর দুর্গম চর এলাকার পূর্ব বাইশ পুকুর গ্রামে মামা রেজাউল ইসলামের বাড়িতে ছোট বেলা থেকে লেখাপড়া করে আসছিল। সে ওই এলাকার পূর্ববাইশ পুকুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ট শ্রেণীর ছাত্রী।
মামা রেজাউল ইসলামের পারিবারিক কলহের কারণে তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা চাপানী হাটস্থ পিত্রালয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান করে আসছেন। স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকাকে বাড়িতে আনার জন্য তার মন ভোলাতে কবিরাজ খুঁজতে থাকলে প্রতিবেশী আনছার আলী ছেলে হামিদুল ইসলামের (৩২) শরনাপন্ন হন রেজাউল।

হামিদুল তার খোঁজে একজন ভালো কবিরাজ আছে জানিয়ে রেজাউলকে নিয়ে ডালিয়া বাজারের পূর্ব বাইশ পুকুর গ্রামের মৃত নছর উদ্দিনের ছেলে কথিত কবিরাজ মাছ ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামের (৩১) এর কাছে যান।
রফিকুল জানান, সে কবিরাজির মাধ্যমে রেজাউলের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকাকে তার বাড়িতে এনে দিতে পারবে। তবে এজন্য একজন কুমারী কন্যাকে দিয়ে অন্ধকার ঘরে একাকী তদবির করতে হবে। তার প্রস্তাবে রেজাউল রাজি হলে ১৭ই মার্চ রাতে কথিত কবিরাজ রফিকুল ও তার সহযোগী হামিদুল ইসলাম রেজাউলের বাড়িতে যায়।
সেখানে রেজাউলের থাকার ঘরে কিশোরী পরীকে একা রেখে ঘরের দরজা বন্ধ করে রাত ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত রফিকুল ধর্ষণ করে। এ সময় পরীর চিতকার করতে থাকলে ঘরের বাইরে থাকা মামা রেজাউল করিম, নানী আয়শা বেগম (৬৭) ও ধর্ষক রফিকুলের সহযোগী হামিদুল তাকে মেরে ফেলে নদীর চরে লাশ পুঁতে রাখার হুমকি দেয়।

এ ঘটনার পরদিন ১৮ই মার্চ পরী তার বিদ্যালয়ে গেলে সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার সহপাঠীরা পরীকে বিদ্যালয়ের পাশ্ববর্তী ফুফু শেরীনা আক্তারের বাড়িতে নিয়ে গেলে সে ঘটনাটি তার ফুফু শেরীনা ও ফুপা রবিউল ইসলামকে জানান।

এ ঘটনাটি এলাকায় ফাঁস হয়ে পড়লে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মামা রেজাউল ইসলাম পরীকে হাতিবান্ধা উপজেলার ভাজনি গ্রামে বাবা ইউনুস আলীর বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
শনিবার দুপুরে ডিমলা থানার পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষণে সহয়তার অভিযোগে মামা রেজাউল ইসলামকে আটক করে এবং ধর্ষককে গ্রেপ্তারের চেষ্টাকালে পালিয়ে যাওয়ার সময় তার ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে ডিমলা থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) হারিছুল ইসলাম জানান, কথিত কবিরাজসহ ৪ জনের নামে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

জয় পরাজয় আরো খবর

adv
সর্বশেষ সংবাদ
সাক্ষাতকার
adv
সব জেলার খবর
মুক্তমত
আর্কাইভ


বিজ্ঞাপন দিন

adv

মিডিয়া