adv
২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

‘যে কোনো পরিস্থিতির দায় সরকারকেই নিতে হবে’

logo-1-1425655906নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজনৈতিক সংকট সমাধানে আলোচনা, সংলাপ-সমঝোতায় বিশ্বাসী বলে দাবি করেছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। তারা বলেছে, সময় ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই সরকারি মহলের শুভবুদ্ধির উদয় হবে বলে জনগণ আশা করে। অন্যথায় উদ্ভূত যে কোনো পরিস্থিতির দায় সরকারকেই নিতে হবে।
শুক্রবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আমরা সংকট সমাধানে আলোচনা, সংলাপ-সমঝোতায় বিশ্বাসী। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলের সংকট নিরসনের উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি।
আওয়ামী লীগকে স্বৈরশাসক এবং তাদের দোসরদের পরিণতির দিকে লক্ষ রাখার পরামর্শ দিয়ে সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জনগণ আপনাদের নারকীয় কর্মকাণ্ডের সকল রেকর্ড সংগ্রহ করেছে। সালাহ উদ্দিন আহমদ আন্তর্জাতিক আদালতে গণহত্যাকারী স্বৈরশাসক এবং তাদের দোসরদের কী পরিণতি  হয়েছে শাসক দল এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ‘কতিপয় কর্তাব্যক্তিদের’ সে দিকে লক্ষ রাখার পরামর্শ দেন। বিবৃতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও একই পরামর্শ দেওয়া হয়।
 সালাহ উদ্দিন বলেন, ক্ষমতাসীন দল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে গণহত্যার লাইসেন্স দিয়েছে। এখন হত্যার দায়মুক্তি দিতে আইন করার খবরও পত্রিকায় প্রকাশ হচ্ছে। ‘শাসকগোষ্ঠীকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, এই আইন শেষ আইন হবে না। ভবিষ্যতে আরও আইন হবে। অসাংবিধানিক, মৌলিক ও মানবাধিকার হরণকারী কোনো আইন আপনাদের রক্ষা করতে পারবে না।’
 
বিবৃতিতে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিকভাবে অগ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। ১৯৭৩ সালেও তারা অনেক বিরোধী প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেয়নি এবং বিজয়ী হওয়ার পর ফল ঘোষণা করেনি। গত বছরের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ঠিক উল্টোভাবে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর আওয়ামী লীগ নিজেদের এবং জাতীয় পার্টির অনেক প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষণা করে। মূলত আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে গণতন্ত্রে কখনোই বিশ্বাসী ছিল না, বরং প্রতিবারই গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছে।
সালাহ উদ্দিন আহমদ  আরও বলেন, বর্তমানে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের মোড়কে একদলীয় বাকশাল কায়েমের তৎপরতায় লিপ্ত। তবে এ দেশের গণতন্ত্রকামী সংগ্রামী জনগণ সব সময় একদলীয় একনায়কতন্ত্রকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এবারও তারা রক্তঝরা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করতে বদ্ধপরিকর।
বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের যশোরের বাসভবনে বোমা হামলা চালিয়েছে আওয়ামী সমর্থকরা। একই সঙ্গে যশোরের বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দের বাসায়ও একযোগে বোমা হামলা চালানো হয়েছে।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত এই মূখপাত্র বলেন, শাসকগোষ্ঠীকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই-গণমানুষের ন্যায্য আন্দোলনকে প্রতিহিংসার স্টীম রোলার চালিয়ে স্তব্ধ করা যাবেনা। বরং দ্রোহের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ দিকে দিকে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। গণআন্দোলনের চুড়ান্ত পর্যায়ে সেই দাবানলেই অবৈধ শাসকগোষ্ঠীর ক্ষমতার মসনদ জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে।

 

জয় পরাজয় আরো খবর

adv
সর্বশেষ সংবাদ
সাক্ষাতকার
adv
সব জেলার খবর
মুক্তমত
আর্কাইভ


বিজ্ঞাপন দিন

adv

মিডিয়া