আব্দুল মাতলুব আহমাদ হতে যাচ্ছেন এফবিসিসিআই’র পরবর্তী প্রেসিডেন্ট
মঞ্জুর এ আজিজ : ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন বিশিষ্ট শিল্পপতি ও নিটল-নিলয় গ্র“পের চেয়ারম্যান আব্দুল মাতলুব আহমাদ। নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে শতাধিক চেম্বার ও এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে ২৫ ফেব্র“য়ারি বার আওলিয়ার পূর্ণভূমি বন্দর নগরী চট্টগ্রাম থেকে কার্যক্রম শুরু করবেন তিনি। পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় ও জেলা শহরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মত বিনিময় করবেন।
আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেন, ব্যবসায়ীরা কি কি সমস্যায় আছেন, কি করলে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে এসব বিষয় নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে কারণ চিহ্নিত করে তা দ্র“ত সমাধান করা হবে। এখানে ব্যবসায়ীদের মতামতকে সর্বো”চ গুর“ত্ব দেওয়া হবে। ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ সৃস্টিতে যে সমস্ত বাধা আছে তা দূর করতে কাজ করবেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে মাতলুব আহমাদ বলেন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যাতে সফলভাবে ব্যবসা করতে পারেন সেজন্য তাদের মতামতকে বিশেষ গুর“ত্ব দেওয়া হবে। একজন ব্যবসায়ী হিসেবে আমার প্রথম কাজ হবে ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ সৃস্টি করা। ব্যবসায়ীদের সুবির্ধার্তে ব্যাংকের সূদের হার কমানোর জন্য সর্বাতœক চেষ্টা করা হবে।
অনেকের ধারণা তিনি ইন্ডিয়ার সঙ্গে ব্যবসা করেন এতে অন্যন্য দেশের ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়তে পারেন? এমন ধারণার প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ইন্ডিয়ার সঙ্গে আমার নিজস্ব ব্যবসা। এরকম ব্যবসা অনেকেরই অন্যান্য দেশে আছে। ব্যাক্তিগত ব্যবসা চলবে তার নিজস্ব গতিতে। এতে ফেডারেশনের কাজে কোনো প্রভাব পড়বে না। বরং আমি সভাপতি নির্বাচিত হলে ব্যবসায়ীদের সুযোগ সুবিধার দিকেই বেশি গুরুত্ব দেব। ব্যবসায়ীদের স্বার্থই আমার কছে বেশি গুর“ত্বপূর্ণ। ভারত আমাদের প্রতিবেশি দেশ। তাদের থেকে শুল্ক কমানোসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা আদায় করা হবে।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কিভাবে চান তার ওপর ভিত্তি করে কাজ শুর“ করছি। এজন্য দেশের সকল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করব। বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে চট্রগ্রাম থেকে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণার কার্যক্রম শুরু করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেন, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যেও যাতে ব্যবসা-বাণিজ্য সচল রাখা যায় আলোচনার মাধ্যমে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে হবে, যাতে ২০২১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশকে মধ্যআয়ের দেশে পরিণত করা যায়। তাছাড়া বর্তমান সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সংশ্লিষ্ট সেক্টরে আধুনিক টেকনোলজি বা উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হবে। এজন্য সকলের সহযোগিতা দরকার। তবে আমি আশা করি এ সহযোগিতা সবার কছে পাব। উল্লেখ্য ২০১৫-১৭ মেয়াদের জন্য ২১ অথবা ২৩ মে নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা হতে পারে।