কে নেবে বঙ্গবন্ধুর শিরোপা? বাংলাদেশ না মালয়েশিয়া
মেহেদী মাসুদ : প্রায় ১০ বছর পর শিরোপা জয়ের প্রত্যাশায় আগামীকাল রোববার বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল বিকেল ৫টায় ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে মালয়েশিয়া সঙ্গে ফাইনালে মুখোমুখি হবে। মামুনুলদের স্বপের সেই ফাইনাল এসেছে গত শুক্রবার সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডকে পরাজয়ের মধ্য দিয়ে। মালয়েশিয়া ১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপের শিরোপা জয়ী দল ।
ফুটবলের ইতিহাসে দীর্ঘ ২৫ বছর পর গত শুক্রবার শক্তিশালী থাইল্যান্ডকে শুধু পরাজিত করেনি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল । থাইল্যান্ডেকে পরাজয়ের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ অর্জন করেছে বেশ কিছু সাফল্য । প্রথম সাফল্যটি হচ্ছে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের মতো একটি বড় আসরের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা। তারপর বড় যেই সাফল্যটি এসেছে সেটি হচ্ছে ফুটবলের প্রতি দর্শকদের আকৃষ্ট করা। গত শুক্রবারের সেমিফাইনালে ২৭ থেকে ৩০ হাজারের মতো দর্শক স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন। যা গত প্রায় ১৫ বছরের ইতিহাসকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। সমগ্র স্টেডিয়াম এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল। টিকিট বিক্রি হয়েছে তিনগুন দামে। যা মনে করিয়ে দেয় ফুটবলের সেই সোঁনালী যুগের কথা। যখন খেলেছিল কাজি সালাউদ্দিন , সালাম মুর্শেদী, আসলাম, মুন্না, কায়সার হামিদ, সাব্বির, পাকির আলী, গাফফার, জনি, চুন্নুদেরমত জনপ্রিয় সব ফুটবল তারকারা।
১৯৮৫ এবং ১৯৮৯ সালে থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জয় পেয়েছিল। এবার নিয়ে তয় জয় তাদের। এই মাঠে ২০০৩ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মালদ্বীপকে হারিয়ে। এরপর ২০০৫ সালে রয়েল চ্যালেঞ্জ কাপ ফুটবলের ফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ। ২০১৩ সালে নেপালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের গ্র“প পর্বে থেকেই বিদায় নেয় বাংলাদেশ। অনেক দিন ফুটবল আলোচনায় পিছিয়ে ছিল বাফুফে।
গ্র“প পর্বের ম্যাচে শুরুতেই এ’ গ্র“পের দল মালয়েশিয়ার কাছে হেরে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল বাংলাদেশ। এরপর অবশ্য আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি মামুনুল-এমিলিদের। গ্র“প পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলংকাকে হারিয়ে রানার-আপ হিসেবে শেষ চারে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। তবে শুরু থেকে দুর্দান্ত পারফর্মেন্স দেখানো থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ কেমন করতে পারবে তা নিয়ে ছিল সংশয়। কারণ গ্র“প পর্বে সিঙ্গাপুরকে ৩-২ গোল এবং বাহরাইনকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শিরোপার শক্তিশালী দাবীদার হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছিল থাইল্যান্ড। তারপরও দলটিকে হারানোর প্রতিশ্র“তি দিয়েছিল স্বাগতিক দলের অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম। অসাধারণ আত্মবিশ্বাসে বলিয়ান বাংলাদেশ দল ঠিকই তাদের কথা রেখেছে।