adv
২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফিরে দেখা – ২০০৩’র বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ

BCB-logo-1420262424হুমায়ুন সম্রাট : ২০০৩ সালের ফেব্র“য়ারি মাসে অস্টম বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আসর বসে আফ্রিকা অঞ্চলে। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ক্রিকেট আসর যৌথভাবে আয়োজন করে দক্ষিণ আফ্রিকা, কেনিয়া ও জিম্বাবুয়ে। কেপটাউনে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের খেলার মধ্য দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু হয় ৯ ফেব্র“য়ারি। চলে ২৩ মার্চ পর্যন্ত। এই আসরে দুটি গ্র“পে বিভক্ত হয়ে অংশ গ্রহণ করে মোট ১৪টি দেশ। উল্লেখ্য প্রথম বারেরমত সবচেয়ে বেশি ১৪টি দল অংশ নেয় ৮ম বিশ্বকাপ ক্রিকেট আসরে। 

গ্র“পিং : 
গ্র“প-এ তে খেলে : অস্ট্রেলিয়া, ভারত, জিম্বাবুয়ে, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, নেদারল্যান্ডস ও নামিবিয়া। 
গ্র“প-বি তে খেলে : বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, কেনিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও  কানাডা। 
এই ১৪ দলের মধ্য থেকে সুপার সিক্সে উঠে : অস্ট্রেলিয়া, ভারত, কেনিয়া, শ্রীলংকা, নিউজিল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে। 
সুপর সিক্সে উঠতে ব্যর্থ হয় পাকিস্তান, স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ! 

বাংলাদেশ দল : ৮ম বিশ্বকাপ ক্রিকেট আসরে খালেদ মাসুদ পাইলটের অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ দলের অন্য সদস্যরা হলেন : আকরাম খান, অলক কাপালি, আল শাহারিয়ার, এহসানুল হক, হাবিবুল বাশার সুমন, হান্নান সরকার, খালেদ মাহমুদ সুজন, মানজুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ আশরাফুল, মোহাম্মদ রফিক, সানোয়ার হোসেন, তালহা জুবায়ের, তাপস বৈশা, তুষার ইমরান ও মাশরাফি বিন মুর্তজা। 
আগের ৭ম বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ২টি ম্যাচ জিতলেও পরের আসরে ৬ম্যাচের ৫টিতে পরাজিত হয় পাইলটের দল। ১টি ম্যাচ হয় পরিত্যাক্ত। ফলে বি-গ্র“পে সাত দলের মধ্যে সবার নিচে থেকে খালি হাতে বিশ্বকাপ আসর শেষ করে দেশে ফেরে বাংলাদেশ দল। 
১ম ম্যাচ বাংলাদেশ-কানাডা : ১১ফেব্র“য়ারি ডার্বানে বাংলাদেশ ৮ম বিশ্বকাপ ক্রিকেট আসরে নিজেদেও প্রথম ম্যাচ খেলতে নামে কানাডার সাথে। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে কানাডা। বাংলাদেশী বোলারদের তোপে ১৮০রান সংগ্রহ করে কানাডা। এর মধ্যে ২৩রান অতিরিক্ত দেয় মাশরাফিরা। ২টি করে উইকেট নেন মাশরাফি ও সানোয়ার হোসেন। জয়ের জন্য ১৮১রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ২৮ওভার খেলে সবকটি উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১২০রান। 
ফলাফল : বাংলাদেশের বিপক্ষে কানাডা জয় পায় ৬০রানে।  
২য় ম্যাচ বাংলাদেশ-শ্রীলংকা : ১৪ফেব্র“য়ারি সিটি ওভালে বাংলাদেশ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে নামে ৯৬’র বিশ্বচ্যাম্পিয়ন শ্রীলংকার বিপক্ষে। টস জিতে বোলিং নেয় লংকানরা। ভাস ও মুরালির সামনে অসহায় হয়ে পরে বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানরা।  ৩১ওভার ১বল খেলে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে মাত্র ১২৪রান। বাংলাদেশের পক্ষে অলোক কাপালি ৩২রান, পাইলট ২০ ও মাশরাফি করেন ২৮রান। ভাস নেন ৬উইকেট এবং মুরালি পান ৩উইকেট। কোন উইকেট না হারিয়ে ২১ওভার ১বল খেলে সহজ জয় তুলে নেয় শ্রীলংকা। 
ফলাফল : শ্রীলংকার কাছে বাংলাদেশ হারে ১০উইকেটে। 

৩য় ম্যাচ বাংলাদেশ- ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ১৮ফেব্র“য়ারি বেনুনিতে বাংলাদেশ ৮ম বিশ্বকাপ ক্রিকেট আসরে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে খেলতে নামে ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ তে পর পর দুইবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ৯উইকেটে সংগ্রহ করে ২৪৪রান। মানজুরুল ৩টি, সুজন ও এনামুল হক মনি পান ২টি করে উইকেট। ২৪৫রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে ৮ওভার ১বলে ২উইকেট হারিয়ে ৩২রান তোলে বাংলাদেশ। এমন সময় ম্যাচে হানা দেয় বৃষ্টি ।  
ফলাফল : বাংলাদেশ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার ম্যাচ পরিত্যাক্ত। 

৪র্থ ম্যাচ বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা : ২২ফেব্র“য়ারি বাংলাদেশ নিজেদের  ৪র্থ খেলায় মাঠে নামে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় প্রোটিয়াসরা। ৩৫ ওভার এক বল খেলে ১০৮রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৯রান করেন অধিনায়ক পাইলট। ২৩রান আসে সুজনের ব্যাট থেকে। দুই ওপেনার গিবস ও গ্যারী কাস্টেন ১২ওভারে জয় এনে দেন আফ্রিকাকে। 
ফলাফল : বাংলাদেশ ১০উইকেটে হারে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে। 
৫ম ম্যাচ বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড : ২৬ফেব্র“য়ারি কিমবার্লিতে বাংলাদেশ নিজেদের ৫ম ম্যাচে মাঠে নামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। আশরাফুলের ৫৬রান এবং মোহাম্মদ রফিকের অপরাজিত ৪১ ও পাইলটের  অপরাজিত ৩৫ রানের সুবাদে ৭উইকেটে ১৯৮রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে ৩৩ওভার তিন বলে ৩উইকেট হারিয়ে ১৯৯রান তুলে নেয় কিউইরা। বাংলাদেশের পক্ষে ৩টি উইকেটই নেন খালেদ মাহমুদ সুজন। 
ফলাফল : বাংলাদেশকে ৭উইকেটে হারায় নিউজিল্যান্ড। 

৬ষ্ঠ ম্যাচ বাংলাদেশ-কেনিয়া : ১মার্চ জোহানেসবার্গে বাংলাদেশ ৮ম বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে মাঠে নামে সমপ্রতিপক্ষ কেনিয়ার বিপক্ষে। বাংলাদেশ দল হয়তো আশা করেছিলো শেষ খেলায় জয় নিয়ে দেশে ফিরবে। কিন্তু আশাতেই শেষ। আগের খেলায় ২৪ফেব্র“য়ারী কেনিয়া শক্তিশালী শ্রীলংকাকে হারিয়েছে ৫৩রানে। টস জেতে কেনিয়া। প্রথমে ব্যাট করে ৭উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ২১৭রান। সানোয়ার হোসেন পান ৩টি উইকেট। এখন জয়ের জন্য বাংলাদেশের লক্ষ ২১৮রান। আশারাফুল-পাইলটরা পারলো না বাংলাদেশকে জয় এনে দিতে। ১৮৫রানে অল আউট হয়ে গেল বাংলাদেশ। তুষার ইমরান করলেন ৪৮ এবং আকরাম খান করলেন ৪৪রান এই যা। 
ফলাফল : বাংলাদেশ শেষ খেলায় কেনিয়ার কাছে হারলো ৩২রানে। 

উল্লেখ্য জোহানেসবার্গে ২৩মার্চ রিকি পন্টিং এর নেতৃত্বে ফাইনালে ভারতকে ১২৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া।

জয় পরাজয় আরো খবর

adv
সর্বশেষ সংবাদ
সাক্ষাতকার
adv
সব জেলার খবর
মুক্তমত
আর্কাইভ
February 2015
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
232425262728  


বিজ্ঞাপন দিন

adv

মিডিয়া