adv
১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজনৈতিক অস্থিরতায় অনিশ্চয়তার মুখে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ

footballমেহেদী মাসুদ : টানা অবরোধের কারণে দিন দিন স্থবির হয়ে পড়ছে ক্রীড়াঙ্গন। শীত মৌসুমে সাধারণত খেলাধুলা বেশি হয়ে থাকে। কিন্তু বছরের শুরু থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ভেঙ্গে পড়েছে খেলাধুলাসহ বিভিন্ন ফেডারেশনের বিভিন্ন কর্মকান্ড। এমন কি হুমকির মুখে রয়েছে আসন্ন বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ অন্তর্জান্তিক ফুটবল টুর্নামেন্টও। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ২৯ জানুয়ারি এই আসর বসার কথা। কিন্তু বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের অনেক কর্মকর্তাই বিরাজমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে গোল্ডকাপের আসর বসানোর পক্ষে নয়। বিদেশি খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার ব্যাপারটি তারা বড় করেই দেখছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মানের এই টুর্নামেন্ট চালানো উচিত হবে না বলেও বাফুফে কর্মকর্তারা মনে করেন। আজ কালের মধ্যে বাফুফে জরুরি সভায় বসে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে বলেও নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

লাখ লাখ টাকা ক্ষতির সম্মুখিন বাফুফের লটারী প্রকল্প
এদিকে তরুণ খেলোয়াড় তৈরির জন্য অর্থ যোগানের লক্ষ্যে বাফুফে বাজারে ছাড়ে ‘বাফুফে লটারী-২০১৪’ । লটারী বিক্রির জন্য স্থানীয় একটি কন্সাল্টেসি ফার্মকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। জেকে ইন্টান্যাশনাল নামের ওই কোম্পানির সূত্র থেকে জানা জানায় ২০টাকা মূল্যের এই লটারি প্রাথমিক ভাবে ৪৫ লাখ টিকিট বাজারে ছেড়েছিল কিন্তু সিংহ ভাগ টিকিট অবিক্রীত থাকলে  প্রাথমিকভাবে ঘোষিত ২৮ ডিসেম্বর -২০১৪ ড্র’র তারিখ পরিবর্তন করে ১০ ফেব্র“য়ারি ২০১৫ তে নেয়া হয়।
কোম্পানির একটি সূত্র থেকে জানায়, গত ১৪ দিনে নামে মাত্র টিকিট বিক্রি হয়েছে। পেট্রোল বোমার ভঁয়ে রাস্তায় কেউ টিকিট নিয়ে বেড় হতে সাহস পাচ্ছে না। এজেন্টগুলোও টিকিট বিক্রিতো দুরের কথা প্রতিদিন টিকিট ফেরত নেবার তাগিত দিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, এ টিকিট বিক্রির জন্য দৈনিক পত্রিকা, রেডিওসহ বিভিন্ন মাধ্যমে লাখ লাখ টাকার বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে। প্রচারের জন্য প্রমোসহ ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার, স্টিকারসহ তৈরি করা হয়েছে। প্রতিদিন কোম্পানিগুলো দরজায় কড়া নাড়ছে বিলের জন্য। তিনি আরো বলেন, ১০ফেব্র“য়ারি ২০১৫ হয়ত ড্র নাও হতে পারে। কারণ পুরস্কারের ৫০ লাখ টাকা এখনও লটারি বিক্রি থেকে আসেনি। তাহলে কিভাবে পুরস্কার দেয়া হবে। ইতোমধ্যে আমাদের বিশাল অংকের অর্থ ক্ষতি হয়ে গেছে। আর কিছুদিন এই অবরোধ থাকলে কোম্পানিতে তালা মেরে পালানো ছাড়া উপায় থাকবে না।
তিনি বলেন, মনে করেছিলাম বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল হলে লাখ খানেক টিকিট বিক্রি করে অন্তত পুরস্কারের টাকাটা জোগার হবে। কিন্তু দেশের চলমান পরিস্থিতিতে টুর্নামেন্ট না হবার সম্ভাবনা রয়েছে। এই অবস্থায় বিদেশি দলগুলো শেষ পর্যন্ত নাম প্রত্যাহার করে নিলে অবাক হবার কিছুই থাকবে না।  উল্লেখ্য, আগামী ২৯তারিখ থেকে সিলেটে শুরু হবার কথা রয়েছে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবলের তৃতীয় এই আসরটির।
বর্তমান অবস্থার বিচারে বলাই যেতে পারে বাফুফে কি তাহলে একোল ওকুল দু’কোলই হারাতে যাচ্ছে ? কারণ আশানুরূপ টিকিট বিক্রি না হলে লটারির পুরস্কারের অর্থ বাফুফের নিজ তহবিল থেকে দিতে হবে। বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ ফুটবলের জন্য ইতোমধ্যে যে অর্থ স্পন্সর কোম্পানির নিকট থেকে নেয়া হয়েছে তাও ফেরত দিতে হবে। কি করবেন কাজী সালাউদ্দিন? তাই দেখার অপেক্ষা ক্রীড়া র্সশ্লিষ্টরা।

 

 

জয় পরাজয় আরো খবর

adv
সর্বশেষ সংবাদ
সাক্ষাতকার
adv
সব জেলার খবর
মুক্তমত
আর্কাইভ


বিজ্ঞাপন দিন

adv

মিডিয়া