অবরুদ্ধ খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মেলবোর্নে অবস্থান কর্মসূচি
মেলবোর্ন সংবাদাদতা প্রেরিতঃ বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট অর্গানায়জেশন এর পক্ষ থেকে অস্ট্রলিয়ার মেলবোর্ন এ পার্লামেন্ট হাউস এর সামনে এক অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সংগঠন এর প্রেসিডেন্ট কায়াস মাহমুদ জনির নেতৃত্তে বিপুল সংক্ষক প্রবাসী বাংলাদেশীরা এতে অংশগ্রহন করেন। নির্দলীয় নিরপেক্ষ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ও সকল রাজনৈতিক দল এর অংশগ্রহনে একটি অবাধ নির্বাচনের দাবিতে ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অবরুদ্ধ থেকে মুক্তির দাবিতে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অর্গানায়জেশন এর সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মোহাম্মেদ এর পরিচালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন মেলবোর্ন বাংলাদেশী কমিউনিটি নেতা রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ মনি,জালাল আহমেদ কুমু ও আব্দুল শাহীন, আনোয়ার হোসাইন, সাবেক ছাত্র নেতা সাগর আহমেদ এবং অস্ট্রলিয়ার লেবার পার্টির সদস্য তৌহিদ পাটওয়ারী.এছাড়াও স্টুডেন্ট অর্গানায়জেশন এর মং খিন, জিসান, খুরশিদ আলম প্রমুখ ও বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী।
বিএনপি এবং তার নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের দাবী অনুযায়ী একটি নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবী সম্পূর্ন উপেক্ষা করে যাচ্ছে আওয়ামী সরকার এবং সমস্যা সমাধানে কোন আলোচনায় বসতেও অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে সরকার। বর্তমানে এ দাবীতে আন্দোলনরত বিরোধী দল গুলোর নেতা কর্মীদের দমন করতে নির্মম ভাবে নিরাপত্তা বাহিনীকে ব্যবহার করছে সরকার যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। বিশেষ করে অতি সম্প্রতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে গত কয়েকদিন যাবৎ তার কার্যালয়ে নিরাপত্তা বাহিনী দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা এবং বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য এবং মতামত বাংলাদেশের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স গণমাধ্যমে প্রকাশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করার মত অগণতান্ত্রীক ও আইনবিরুদ্ধ কার্যকলাপের দিকে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণের উদ্দেশ্যে অবস্থান কর্মসূচি।কর্মসূচি শেষে এক প্রেস বিগপ্তিতে কায়াস মাহমুদ জনি বলেন বর্তমান সরকারকে আলোচনা ও সমঝোতার ভিত্তিতে অতি শিগ্রই একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এর ব্যবস্থা করা উচিত এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেগম খালেদা জিয়াকে এভাবে অবরুদ্ধ করে রাখাটা মোটেও বর্তমান সরকারের উচিত হয়নি। অনতিবিলম্বে তার মুক্তির দাবি জানানো হয় ও পুলিশ বাহিনী কর্তৃক গনতন্ত্রকামি সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার বন্ধের দাবি জানানো হয়।