অলৌকিকভাবে রক্ষা পেলেন ইন্দোনেশিয়ার ১০ নাগরিক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইন্দোনেশিয়ার বিমান বন্দরে পৌঁছতে দেরি করায় নিখোঁজ বিমানটিতে ওঠা হয়নি একই পরিবারের ১০ সদস্যের। তাতেই প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন তারা। এয়ার এশিয়ার নিখোঁজ বিমানটিতে করেই সিঙ্গাপুরে যাওয়ার কথা ছিল তাদের। কিন্তু সময়মতো বিমান বন্দরে পৌঁছতে না পারায় তাদেরকে রেখেই বিমানটি উড়াল দেয়। ১৬২ আরোহী নিয়ে গতকাল থেকে নিখোঁজ এয়ার এশিয়ার বিমানটি এখন সাগরতলে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইন্দোনেশিয়ার ন্যাশনাল সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সির প্রধান বামবাং সোইলিস্ত এ ধরনের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
ভাগ্যের জোরে রক্ষা পাওয়া ব্যক্তিদের একজন হলেন ৩৬ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানাওয়াতি। তিনি জানিয়েছেন, পরিবারের বেঁচে যাওয়া ১০ জনের মধ্যে ছয়জন প্রাপ্তবয়স্ক। অন্যরা শিশু। ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে তাদের সিঙ্গাপুর যাওয়ার কথা ছিল। তবে বিমানের সময় সূচি নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় তারা সময় মতো পৌঁছাতে পারেননি।
তাঁদের বিমানটি সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ইন্দোনেশিয়া ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে। কিন্তু বিমান উড্ডয়নের সময় দুই ঘণ্টা এগিয়ে ভোর ৫টা ৩০ মিনিট করা হয়। বিষয়টি জানানোর জন্য এয়ার এশিয়া কর্তৃপক্ষ তাদের ফোন ও ই-মেইল করে। কিন্তু তারা তা সময় মতো জানতে পারেননি।
গতকাল সকাল সাড়ে সাতটার দিকে বিমানবন্দরে গিয়ে যখন জানতে পারেন যে বিমানটি চলে গেছে, তখন তারা ক্ষিপ্ত হন। কাজেই তারা অন্য ফ্লাইটের টিকিট ইস্যু করতে যান। এমন সময় খবর আসে, ওই বিমানটি নিখোঁজ হয়েছে।
ক্রিস্টিয়ানাওয়াতি আরো বলেছেন, খবরটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে তারা টিকিট কেনা স্থগিত রাখেন। সৃষ্টিকর্তার পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই তারা বেঁচে গেছেন বলে এসব ব্যক্তি মনে করছেন। তারা সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।