৬০০ ফুট গভীরে শিশুটির অবস্থান জানতে নামানো হয়েছে ক্যামেরা
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর শাহজাহানপুরে রেলওয়ে কলোনিতে প্রায় ৬শ ফুট গভীরে ১৭ ইঞ্চি ব্যাসের পানির পাইপে একটি শিশু পড়ে গেছে। শিশুটিকে উদ্ধারে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। রাত ১০টায় পাইপের মধ্যে শিশুটির অবস্থান জানতে একটি বিশেষ ক্যামেরা নামিয়ে এলসিডি মনিটর বসানো হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে ব্যাডমিন্টন খেলার সময় শিশুটি পড়ে যায়। জিহাদ নামের শিশুটির বয়স সাড়ে ৩ বছর। শিশুটি খেলতে খেলতে হঠাত করে উন্মুক্ত পাইপটির ভেতরে পড়ে যায়। পাইপটি গভীরতা আনুমানিক ৬শ ফুট বলে জানিয়েছে সেখানে কর্মরত ফায়ার সার্ভিস।
বাচ্চাটিকে জীবিত উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তার শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। রশি নামিয়ে উপর থেকে চিতকার করে ধরতে বলা হলেও শিশুটির বয়স অনেক কম হওয়ায় তাতে কাজ হচ্ছে না। এ কারণে তার হাতে বা পায়ে দড়ির ফাঁস লাগিয়ে টেনে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। শিশুটি বেঁচে আছে এ ব্যাপারে নিশ্চিত ফায়ার সার্ভিস কারণ উপর থেকে পাঠানো জুস খেয়েছে সে।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, পানির পাম্পটি অনেকদিন পরিত্যক্ত ছিল। সম্প্রতি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এটি সচল করার কাজ শুরু করেছে। সাড়ে তিন বছরের শিশু জিহাদের অবস্থান জানতে নামানো হয়েছে ক্যামেরা রাত ৯টায় একটি চটের বস্তা বিশেষভাবে সেলাই করে রশি বেঁধে নামিয়ে দেয়া হয়। তবে সেটাও ব্যর্থ হয়েছে। এখন পাইপটিই ক্রেন দিয়ে টেনে তোলা হচ্ছে। কিছু অংশ তুলে কেটে ফেলার পর বাকি অংশ আবার ক্রেন দিয়ে টেনে তোলা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) শাকিল নেওয়াজ বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে জিহাদ পাইপের কোনো একটা অংশে বেঁধে আছে। কারণ এর আগে রশিতে বস্তা বেঁধে নামিয়ে দিলে সে কয়েকবার সেটা ধরে উঠার চেষ্টা করেছে। পাইপের ভেতর আরেকটি জিআই পাইপ (টিউবওয়েলের পাইপ) থাকার কারণে ব্যাস কমে গেছে। এই পাইপটি তুললেই তাকে উদ্ধার সম্ভব হবে আশা করা হচ্ছে।’ এদিকে উদ্ধার সরঞ্জামের অপ্রতুলতা রয়েছে বলেও স্বীকার করেন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, শিশুটির বাবার নাম নাসির বকুল। শাহজাহানপুর রেলওয়ে সুপারমার্কেট সংলগ্ন মৈত্রী সংঘের মাঠে খেলতে গিয়ে বিকেল ৩টার দিকে শিশুটি পাইপে পড়ে গেছে। খবর পেয়ে সাড়ে ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিস।