বঙ্গবন্ধুর অবসরসুবিধা পাবেন শেখ রেহানা
আসাদুজ্জামান সম্রাট : প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবার অবসরভাতা পাচ্ছেন না। ১৯৭৯ সালের পর থেকে যারা রাষ্ট্রপতি ছিলেন তারা অবসরভাতা পাচ্ছেন। এ আইন সংশোধন করে মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত যারা রাষ্ট্রপতি ছিলেন তাদের সম্মানার্থে অবসরভাতা প্রদানের বিষয়টি চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার। আর এটি করা হলে প্রয়াত রাষ্ট্রপতির পরিবারের সদস্য হিসেবে শেখ হাসিনা নন, শেখ রেহানা এই ভাতার অধিকারী হবেন।
সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে রাষ্ট্রপতির অবসরভাতা আইন ২০১৪ এর খসড়া উপস্থাপন হলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সময় ৭৯ সালের আগে যারা রাষ্ট্রপতি ছিলেন তাদের অবসরভাতা আইনের আওতায় আনার বিষয়ে মন্ত্রি-প্রতিমন্ত্রিরা মতামত ব্যক্ত করেন। একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাষ্ট্রপতির অবসরভাতা চালু হয় ১৯৭৯ সালের অধ্যাদেশের মাধ্যমে। এ আইন অনুযায়ী জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে পরবর্তীতে যারা রাষ্ট্রপতি ছিলেন তারা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা অবসরভাতা পেয়ে আসছেন।
তবে প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান থেকে শুরু করে ’৭৯ সালের আগে যারা রাষ্ট্রপতি ছিলেন তারা অবসরভাতা আইনের আওতায় নেই। যেহেতু রাষ্ট্রপতির অবসরভাতা আইন রয়েছে সেহেতু মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে যারা রাষ্ট্রপতি ছিলেন তাদের সম্মানার্থে অবসরভাতা আইনের আওতায় আনা উচিত বলে মন্ত্রিসভার সদস্যরা মনে করেন।
সূত্র আরও জানায়, মন্ত্রিসভার কেউ কেউ বলেন, ব্রিটিশের সময় করা আইনের অনুসরণের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। পাকিস্তানে রাষ্ট্রপতির অবসরভাতা এই আইন ছিল কিনা, যদি থাকে তাহলে ১৯৭৯ সালে আইন করার সময় তা রহিত করার কথাও হয়নি। এ বিষয়টিও খতিয়ে দেখা দরকার। এ মতামতের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতির অবসরভাতা আইন-২০১৪ এর খসড়া ফেরত পাঠানো হয়।
সংশোধিত আইনানুযায়ী প্রথম রাষ্ট্রপতির পরিবারের সদস্য হিসেবে অবসরভাতা প্রাপ্য হবেন তার ছোট মেয়ে শেখ রেহানা। কারণ, ওই সময়ে তার বড়ো মেয়ে শেখ হাসিনার বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। সাধারণত: মেয়েদের বিয়ে হওয়ার পরে অবসরভাতার সুবিধাদির ক্ষেত্রে তিনি বিবেচিত হন না। এমনই জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুৃন্নু।
উল্লেখ্য, মামলায় সাজা হওয়ার কারণে সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদ এই ভাতা পাচ্ছেন না।