অর্থ উপার্জনে রোনালদোকে টপকাল এক বিড়াল!
ডেস্ক রিপোর্ট : বিশ্বের সেরা ফুটবলারদের একজন তিনি। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী খেলোয়াড়দের মধ্যেও তিনি প্রথম সারিতেই আছেন। অথচ বিস্ময়ের ব্যাপার, পর্তুগাল ও রিয়াল মাদ্রিদ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো চলতি বছর যে আয় করেছেন সেটাকেও টপকে গিয়েছে 'সামান্য' এক বিড়াল!
শুধু টপকেই যায়নি বরং ২০১৪ সালে রোনালদো যা আয় করেছেন তার চেয়ে অনেক বেশি আয় করেছে আমেরিকার ওই বিড়ালটি! আড়াই বছর বয়সি 'গ্রাম্পি' বিড়ালটির নাম টার্ডার।
অবিশ্বাস্য হলেও ২০১৪ সালে টার্ডারের আয় ২০০ মিলিয়ন ডলার! যা পাউন্ডের হিসাবে ৬৪ মিলিয়ন! আয়ের এই পরিসংখ্যানে বিড়ালটির চেয়ে ঢের পিছিয়ে রোনালদো। কারণ, এখনও পর্যন্ত ২০১৪ সালে রোনাল্ডোর আয় ২৭.১ মিলিয়ন পাউন্ড।
অ্যারিজোনার তাবাথা বুন্ডেসেন হলেন সেই ভাগ্যবান ব্যক্তিটি যিনি এই 'বিস্ময় বিড়ালে'র মালিক। তিনি আগে ওয়েট্রেসের কাজ করতেন। কিন্তু বিড়ালটি তার ভাগ্য আমূল বদলে দিয়েছে।
২৮ বছরের তাবাথা বলেছেন, 'সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে আমার বিড়ালের পারফরম্যান্সের শুরুর কয়েক দিনের মধ্যেই আমি চাকরিটা ছেড়ে দিয়েছি। তখন থেকে এখন পর্যন্ত আমার ফোন প্রতি মুহূর্তেই বেজে চলেছে। অল্প সময়ের মধ্যে টার্ডার যে অবিশ্বাস্য কাজটি করেছে তা মাথা ঘুরিয়ে দেয়ার মতোই।'
কিভাবে এত আয় করে একটি বিড়াল? এ কথাটিই তো ভাবছেন? মূলত ইউটিউব, সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট, বিজ্ঞাপন, উপহার সামগ্রী দিয়েই বিস্ময়কর এই আয় করেছে গ্রাম্পি বিড়ালটি। তাতে মালিকের কপাল খুলেছে অবিশ্বাস্যভাবে। ১৫.৭ মিলিয়ন মানুষ ইউটিউবে দেখেছেন গ্রাম্পিকে। ১৫টি ভাষায় অনুমোদিত বই থেকেও এসেছে প্রচুর টাকা।
গ্রাম্পি এখন একটি ব্র্যান্ড। সম্প্রতি গ্রাম্পির সঙ্গে বড় অঙ্কের চুক্তি করেছে আইস কফি কোম্পানি। বিড়ালটির ওপরই এই কফির নাম রাখা হয়েছে 'গ্রাম্পুচিনো'।