নোবেল শান্তি পুরস্কার গ্রহণ করেছেন মালালা
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ পাকিস্তানের নারী শিক্ষা আন্দোলনের কর্মী মলালা ইউসুফজাই ও ভারতের শিশু অধিকার কর্মী কৈলাশ সত্যার্থী নোবেল শান্তি পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। এবার যৌথভাবে তারা এ পুরস্কারে ভূষিত হন। নরওয়ের রাজধানী অসলোতে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি তাদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেয়।
বিবিসি অনলাইন এ খবর নিশ্চিত করেছে। খবরে বলা হয়, পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে নোবেল কমিটি মালালা ও কৈলাশ উভয়েই ‘শান্তির চ্যাম্পিয়ন’। এদিকে পুরস্কার গ্রহণের আগে ১৭ বছর বয়সি মালালা বিবিসিকে বলেন, দেশ সেবার উত্তম উপায় যদি রাজনীতিই হয়, তবে ভবিষ্যতে তিনি রাজনীতি করতে চান। প্রয়োজনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতেও আপত্তি নেই তার। তবে পুরস্কার গ্রহণের পরে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কৈলাশ সত্যার্থী বলেন, এই পুরস্কার ভবিষ্যতে শিশু-দাসত্বের বিরুদ্ধে কাজ করার সুযোগ আরও বাড়িয়ে দিবে। পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান থর্বজর্ন জাগল্যান্ড ও নরওয়ের রাজা পঞ্চম হ্যারল্ডের উপস্থিতিতে নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করেন মালালা ও কৈলাশ। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিজয়ী দুজনই ‘নোবেল বক্তৃতা’ দেন। পুরস্কার গ্রহণের দিন বিজয়ীরা যে বক্তব্য দেন, তা নোবেল বক্তৃতা হিসেবে পরিচিত। মালালার শিক্ষা আন্দোলনের গুরুত্ব সম্পর্কে নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান জাগল্যান্ড বলেন, গণতন্ত্র ও মুক্তির পথ প্রশস্ত করে জ্ঞান। এ ছাড়া জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলস কাজ করে যাওয়ায় কৈলাশ সত্যার্থীর প্রশংসা করেন তিনি। প্রসঙ্গত, নারী শিক্ষার আন্দোলন করার কারণে ২০১২ সালে তালেবান হামলার শিকার হন পৃথিবীর সর্বকনিষ্ঠ নোবেল বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই।