ম্যান্ডেলার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী
ডেস্ক রিপোর্ট : দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল আজ। ম্যান্ডেলাবিহীন এক বছর পার করল বিশ্ব। গত বছরের এ দিনে নিজ বাসভবনে মারা যান মানবতাবাদী এ নেতা। ম্যান্ডেলা স্থানীয়ভাবে মাদিবা নামে পরিচিত।
মানবতার মূর্তপ্রতীক ম্যান্ডেলা এখন আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু মানুষের মাঝে রয়েছে তার আদর্শ। এর জন্য মানুষের হৃদয়ে সারা জীবন স্মরণীয় ও বরণীয় হয়ে থাকবেন তিনি। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বে মাদিবার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হ”েছ। বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে নেলসন ম্যান্ডেলা ফাউন্ডেশন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ৭টা ৫৬ মিনিটে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের ঝংকারের মাধ্যমে শুরু হয় ম্যান্ডেলা ফাউন্ডেশনের আয়োজন। ম্যান্ডেলার ৬৭ বছরের সংগ্রামী জীবন স্মরণ করে ৩ মিনিটের নীরবতা পালন করা হয়।
ম্যান্ডেলার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী সামনে রেখে মাদিবার শান্তির দর্শন, ঐক্য, সমৃদ্ধি ও উন্নত জীবনের প্রতি নিজেদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করার মাধ্যমে তাকে স্মরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা।
দক্ষিণ আফ্রিকা ও বিশ্ববাসীকে এই মহান নেতার স্মৃতি জীবন্ত করে রাখা ও তার মূল্যবোধ ধারণের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী বাথাবাইল ডালামিনি।
ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্সের নেতা হেলেন জিলও ম্যান্ডেলার আদর্শ অনুসরণের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন। প্রিটোরিয়ায় প্রার্থনা শেষে ফুলেল শুভেচ্ছায় এই বিশ্বনেতাকে সম্মান জানাবেন বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের জীবিত বর্ষীয়ান নেতারা। এ উপলক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় ক্রিকেট দল এবং রাগবি দলের মধ্যে একটি প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচেরও আয়োজন করা হয়েছে।
গত বছরের ৫ ডিসেম্বর ৯৫ বছর বয়সে জোহানেসবার্গের নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ম্যান্ডেলা। পূর্ব কেপটাউনের কুনু গ্রামে ১৯১৮ সালের ১৮ জুলাই জন্মেছিলেন তিনি।
ম্যান্ডেলার দীর্ঘ জীবনের প্রায় পুরোটাই কেটেছে মানবতার মুক্তির সংগ্রামে। কালো মানুষের মুক্তির আন্দোলন করতে গিয়ে ২৭ বছর কারাভোগ করেছেন মাদিবা।
১৯৯৪ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট ছিলেন। পরে স্বেচ্ছায় ওই পদ ছেড়ে দেন তিনি। ১৯৯৩ সালে শান্তিতে নোবেল পান। গত দুই দশকে ২৫০টির বেশি আন্তর্জাতিক পদক পান তিনি। ২০০৪ সালে রাজনীতি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরে যান নেলসন ম্যান্ডেলা। তথ্যসূত্র : বিবিসি, টেলিগ্রাফ, গার্ডিয়ান।