adv
২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজনীতির দৌড়ে কে এগিয়ে ? তারেক না জয়

tarek joyউম্মুল ওয়ারা সুইটি : উত্তারাধিকার রাজনীতির দৌড়ে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং তারেক রহমানের মধ্যে কে এগিয়ে এ নিয়ে এখন জল্পনা-কল্পনা, আলোচনা-সমালোচনা, কখনো কখনো তুমুল বিতর্ক সারাদেশে। কট্টরপন্থী আওয়ামী লীগ সমর্থকদের অভিমত, জয়ের সঙ্গে তারেকের তুলনাই চলে না। শিক্ষা ও জ্ঞানে তারেক কখনোই জয়ের ধারে কাছে যেতে পারবে না। তাছাড়া তারুণ্যের ক্রেজ কম্পিউটার ও তথ্য-প্রযুক্তিতে  জয় বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে তিনি সামনে চলে এসেছেন নিজের যোগ্যতায়।

অন্যদিকে বিএনপি সমর্থিতদের বক্তব্য, বাংলাদেশের রাজনীতিতে জয়ের স্থান খুব একটা সুবিধাজনক হবে না। জনগণের সঙ্গে জয়ের সম্পর্ক নেই। আর তারেক রহমান এরই মধ্যে সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন। জনগণ তাকে চায়। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত তারেকের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়ে আছে। বিএনপির পরবর্তী রাজনৈতিক কাণ্ডারি তারেকের দিকে তাকিয়ে আছে পুরো দেশ।
এভাবেই বেশ কয়েক বছর থেকে দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই শীর্ষ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার  সন্তান জয় ও তারেককে নিয়ে আলোচনা চলছে। দিনে দিনে এই আলোচনা রাজনৈতিক গণ্ডি পেরিয়ে সব মহলে কেন্দ্রীভূত হচ্ছে বলে আমাদের সময় ডটকমের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারাও মনে করেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পরবর্তী নেতৃত্বের দিকে সবারই মনোযোগ। এ নিয়ে দলে অভ্যন্তরীণ কোন্দল থাকলেও কেউ প্রকাশ্যে বিরোধীতা করবে না এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন কেউ কেউ। দলের শীর্ষ নেতাকে খুশী রাখতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দলীয় নীতি নির্ধারকরা  সজীব ওয়াজেদ জয় ও তারেক রহমানের পক্ষেই জোরালো অবস্থান নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে তারেক রহমানের তুলনা কোনো দিক থেকে চলে না। বাংলাদেশকে এবং এদেশের তরুণদের সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে জয়ের যে ভিশন এবং তার বাস্তবায়ন আমরা দেখছি সেটিই প্রমাণ করে জয় কতটা যোগ্য। তিনি প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে বেশ দক্ষতার সাথে কাজ করছেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সন্তান  হিসেবে সজীব ওয়াজেদ জয় যতই সুযোগ পাননা কেন তিনি কখনোই জনপ্রিয়তায় তারেক রহমানের ধারে কাছে আসতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভালো করেই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। আর এ কারণেই একের পর এক মামলার জালে তারেককে আটকানোর চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, সরকার যতই প্রতিহত করবে তারেক রহমানের জনপ্রিয়তা আরো বাড়বে।
ইন্টারনেটে দেয়া সজীব ওয়াজেদ জয়ের ব্যক্তিগত প্রোফাইল থেকে পাওয়া তথ্য মতে, ছোট বেলা থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং ড. ওয়াজেদ মিয়ার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় ভারতে পড়াশোনা করেছেন। তিনি কম্পিউচার বিষয়ে প্রথমে ভারতের বাঙ্গালোরে এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংএ বিএসসি  করেন। এছাড়া  তিনি হার্বাডের কেনেডি স্কুল অব গভর্নমেন্ট থেকে পাবলিক অ্যাডমিনিস্টেশনে মাস্টার্স করেন। মার্কিন আইসিটি বিশেজ্ঞ সজীব ওয়াজেদ জয় বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা (অবৈতনিক)। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বচানী ইশতেহার তৈরিতে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে বলে। তিনিই ভিশন ২১ এর মূল উদ্যেক্তা।
উল্লেখ্য, তারেক রহমান বর্তমানে লণ্ডনে বসবাস করছেন। ওয়ান ইলেভেনের সময় তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তার হন এবং সে সময় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। মামলাগুলো এখনো চলছে এবং তার বির“দ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।

ইন্টারনেটে দেয়া  তারেরক রহমানের ব্যক্তিগত প্রোফাইল থেকে পাওয়া তথ্য মতে, সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী , বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান ১৯৯৮ সালে প্রথমে বিএনপি একটি দলীয় গবেষনার মাধ্যমে দলের নেতাকর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। তিনি প্রথমেই বিএনপির যুগ্ম সচিব হিসেবে রাজনীতি শুরু করেন ২০০২ সালে। এরপর ২০০৯ সালে বিএনপির পঞ্চম কাউন্সিলে তিনি সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং সারা দেশে তৃণমূলের তরুণ নেতাদের নিয়ে সমাবেশ করেন।

 

জয় পরাজয় আরো খবর

adv
সর্বশেষ সংবাদ
সাক্ষাতকার
adv
সব জেলার খবর
মুক্তমত
আর্কাইভ


বিজ্ঞাপন দিন

adv

মিডিয়া