আরেক ঐশী!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ‘বাবা ছিল ব্যাকডেটেড (সেকেলে)। আমার সঙ্গে তার ম্যাচ করতো না (মিলত না)। আর মা আমার সব কথাই বাবাকে বলে দিতেন। কোনো ফ্রিডম (স্বাধীনতা) ছিল না। আমি বোর (বিরক্ত) হয়ে গিয়েছিলাম।’ পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানকে হত্যার পর তাদেরই মেয়ে ঐশী রহমান পুলিশের কাছে এ কথাগুলো বলেছিলেন। কয়েক মাস আগে বন্ধুদের নিয়েই তিনি হত্যা করেছিলেন বাবা-মাকে। আর এমনই এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের গুজরাটের ভদোদরায়।
১৫ বছরের এক কিশোরী প্রেমিকের জন্য নিজের বাবা-মাকে খুন করেছে। শুধু তাই নয়, প্রমাণ ধ্বংস করার জন্য বাড়িতেই প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে প্রায় ৭০ দিন ধরে অ্যাসিড দিয়ে মৃতদেহ পোড়ানোর চেষ্টা করে সে।
জানা গেছে, ওই পরিবার অভিযুক্ত মেয়টিকে দত্তক নিয়েছিলো। দশম শ্রেণীর ছাত্রী ওই কিশোরীর ২১ বছরের এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে সেই প্রেমিককে পছন্দ করত না বাড়ির লোকজন।
সে কারণেই প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে ৬৩ বছরের বৃদ্ধ বাবা পুরুষোত্তম ও তার স্ত্রী স্নেহাকে খাবারে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায়। এতে তারা জ্ঞান হারালে ছুরিকাঘাতে খুন করে তাদের মেয়ে। আর সেটি করা হয় গত ৩ আগস্ট। এরপর সেই মৃতদেহ দু’টিকে অ্যাসিড দিয়ে পোড়ানোর চেষ্টা করে তারা। কিন্তু তাদের ভাড়াটিয়া ভাড়া দিতে এসে বিষয়টি টের পায়। পরে পুলিশ এসে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে। এসময় ঘাতক প্রেমিকযুগলকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, বাবা-মাকে খুন করার পর ওই কিশোরী প্রেমিকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে এখন গর্ভবতী।