দয়া করে পড়বেন না
ডেস্ক রিপোর্ট : ষোল বছর পরে পরিবারের সঙ্গে মিলন হল নাজমুনের। এ এক বিয়োগান্তক ঘটনা বটে। অনেকটা চলচ্চিত্রের কাহিনীর মত। ১৯৯৮ সালে নাজমুন বি সৌদি আরবে আসেন এবং তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তার পর তার ভিসা ও পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তারপরও নাজমুন এক সৌদি পরিবাওে গৃহকর্মীর কাজ করে যায় সামান্য পেটে ভাতে। ওই সৌদি পরিবার তাকে কোনো বেতন ভাতা দেয়নি।
কিন্তু নাজমুনকে তার পরিবার ভোলেনি। গত মঙ্গলবার সৌদি আরবেই নাজমুনের সঙ্গে দেখা হয়ে যায় তার ছেলের। তার ছেলে সৌদি আরবে কাজ নিয়ে আসে এবং মনে তার অদম্য বাসনা ছিল সে মাকে খুঁজে বের করবেই। ২০০২ সাল থেকে নাজমুনের পরিবার তার খোঁজ পুনরায় শুরু করে। এ নিয়ে এক টেলিভিশনে আঞ্চলিক ভাষায় খবর প্রচারিত হয়। শ্রীলংকার তামিল নাড়–তে এক মহিলা টেলিভিশনে সে খবর দেখেন। যিনি আবার কাজ করেন রিয়াদে।
এভাবে শ্রীলংকায় নাজমুনের পরিবারের কাছে খবর পৌঁছে যায়, যে সে এখনো বেঁচে আছে এবং রিয়াদে একটি পরিবারের সঙ্গেই আছে। নাজমুনের ভাই ও তার ছেলে রিয়াদে এসে তাকে খুঁজে পায়। পুলিশ এখন নাজমুনের বকেয়া গত ১৬ বছরের বেতন বাবদ ৯২ হাজার সৌদি রিয়াল আদায় করে দেয়ার চেষ্টা করছে। নাজমুনের ভাই নাজির রিয়াদেই কাজ করেন।
নাজমুনের ছেলের নাম সেলিম। তার বয়স এখন ১৭ বছর। রিয়াদে গাড়ি চালক হিসেবে সে কাজ করতে আসে। মনে তার ইচ্ছে যদি মাকে কখনো খুঁজে পাওয়া যায়। আল্লাহ সে ইচ্ছা পূরণ করলেন। ইতিমধ্যে নাজমুনকে ১০ হাজার সৌদি রিয়াল আদায় করে দিয়েছে সৌদি পুলিশ। বাকি ৮২ হাজার রিয়াল আগামী দুই মাসে পরিশোধ করবে সৌদি পরিবারটি। এতদিনে নাজমুনের মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। বড় ছেলে আরিফ আর ইহজগতে নেই। তার ছোট ছেলে সেলিম বিয়ে করেছে, তারও সন্তান রয়েছে তিনটি। আরব নিউজ