বন্ধ হয়ে গেছে ২০৯টি পোষাক কারখানা- হাজার হাজার শ্রমিক বেকার
ডেস্ক রিপোর্ট : একের এক বন্ধ যাচ্ছে দেশের তৈরি পোশাক কারখানা। গত বছর রানা প্লাজা ধসের পর থেকে এখন পর্যন্ত ২০৯টি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার শ্রমিক। দিন দিন এই সংখ্যা বেড়েই চলছে।
ওয়ার্ক ওর্ডারের অভাব, নিয়ম না মানা, শ্রমিক অসন্তোষ, ব্যবসা ছেড়ে দেওয়া এবং কারখানা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া এসব নানা কারণে আশঙ্কাজনক হারে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে পোশাক কারখানাগুলো।
তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, গত বছর রানা প্লাজা ধসে পড়ার পর থেকে পূর্বঘোষিত কোনো কারণ ছাড়াই ২০৯টি তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ দিয়েছেন মালিকরা।
জানা গেছে, বন্ধ হয়ে যাওয়া এসব কারখানার ৫৬ শতাংশ অর্থাৎ ১১৮টি কারখানা চলতো সাবকন্ট্রাক্টরের মাধ্যমে। আর ৪৫.৪৫ শতাংশ অর্থাত ৯৫টি কারখানা ছিল শেয়ার বিল্ডিংয়ে। এসব কারখানায় কমপক্ষে ১ লাখ ২০ হাজার শ্রমিক কাজ করতো। যাদের অধিকাংশই নারী শ্রমিক। এখন কাজ হারিয়ে তাদের বেশির ভাগই বেকার।
সম্প্রতি সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরে বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানা পরিদর্শন করে দেখা গেছে, পোশাক শ্রমিক কাজের জন্য আসছেন। কিন্তু কারখানা থেকে তাদেরকে ফিরে দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ‘নো ভ্যাকেন্সি’।
বাংলাদেশ জাতীয় পোশাক শ্রমিক-কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি বলেন, কাজ হারানো শ্রমিকদের মধ্যে ৪০ শতাংশ অন্যত্র কাজ জুটাতে পেরেছেন। ২০ শতাংশ শ্রমিক বেকার রয়ে গেছেন। ২৫ শতাংশ চুক্তিভিত্তিতে কাজ করছেন। ১০ শতাংশ ঢাকা ছেড়ে চলে গেছেন। আর ৫ শতাংশ পুরুষ পোশাকশ্রমিক তাদের পেশা পরিবর্তন করেছেন।
সম্প্রতি বন্ধ হয়ে গেছে জুকি গার্মেন্টর্স। এখানকার একজন কর্মী ছিলেন হেলেনা আক্তার। তিনি বলেন, কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বেশ কয়েকটি জায়গায় কাজের জন্য গিয়েছি। কিন্তু পাইনি। এখন বেকার হয়ে বসে আছি।
তিনি বলেন, যেখানেই গেছি বেশির ভাগ কারখানাতেই নোটিশ টানানো দেখেছি ‘কাজ নেই’। হতাশ হয়ে ফিরে এসেছি। তোবা গ্র“পের একজন কর্মী ছিলেন তসলিমা আক্তার। তিনি বলেন, নতুন কাজ জুটাতে না পেরে আমি বাড়িতে চলে এসেছি। কোরবানি ঈদের পর কাজের সন্ধানে আবার ঢাকায় যাবো। তবে জানি না কাজ পাবো কিনা। সূত্র: ঢাকা ট্রিবিউন