স্বামী বিদেশে- সন্তান ফেলে ‘মা’ প্রেমিক হুজুরের সঙ্গে উধাও
ডেস্ক রিপোর্ট : দীর্ঘদিন স্বামী প্রবাসে। এই শূন্যতায় গৃহশিক্ষক মাদ্রাসা ছাত্রের সঙ্গে প্রেম, অনৈতিক সম্পর্ক। এরপর ফুটফুটে দুটি সন্তান রেখে প্রেমিকের হাত ধরে অজানা গন্তব্যে পাড়ি। ঘটনাটি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার লালা নগর ইউনিয়নের পূর্ব খিলমোগল এলাকায়।
শ্বশুর বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, এই গৃহবধু প্রবাসী স্বামীর পাঠানো স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা-পয়সা সব নিয়ে প্রেমিকের সাথে চম্পট দিয়েছেন।
উধাও হয়ে যাওয়া গৃহবধুর পিতার অভিযোগ, তার মেয়ে শাবলি প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাননি। শ্বশুর বাড়ির লোকজনই এই নিখোঁজ রহস্যের সঙ্গে জড়িত। শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিভিন্ন সময় নির্যাতন চালিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন শাবলির পিতা আবদুল মালেক।
এ ব্যাপারে থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার হোছনাবাদ ইউনিয়নের নিশ্চিন্তাপুর গ্রামের আবদুল মালেকের কন্যা শাবলি আকতারের (২৭) সঙ্গে লালা নগর ইউনিয়নের পূর্ব খিলমোগল গ্রামের নজরুল পাড়া এলাকার মজলিস মিয়ার পুত্র নেজাম উদ্দিনের ৭ বছর আগে বিয়ে হয়। এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে তাদের।
প্রায় ৪ বছর ধরে শাবলির স্বামী মধ্যপ্রাচ্যে বাস করছেন। এই সময়ে শাবলি আক্তার তার শিশুপুত্রের লেখাপড়ার জন্য একই এলাকার আবুল কালামের পুত্র মাদ্রাসা ছাত্র মো. আবু বক্করকে (২৬) গৃহশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করেন।
পুত্রকে পাঠদান করতে গিয়ে শাবিলির সঙ্গে গৃহশিক্ষকের প্রেমের গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠে। এই সম্পর্ক এক পর্যায়ে অনৈতিক সম্পর্কে রূপ নেয়। বিষয়টি এক সময় শ্বশুর বাড়ির লোকজনের নজরে এলে বাড়িতে শালিস বিচার বসে। বাড়ি থেকে বিতাড়িত করা হয় গৃহশিক্ষককে।
গৃহশিক্ষক বাড়ি থেকে বিতাড়িত হলেও শাবলির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক চলতে থাকে এই সম্পর্কের জের ধরে গত ১৩ আগস্ট শাবলি শ্বশুর বাড়িতে তার দুই সন্তানকে রেখে পালিয়ে যান। এরপর থেকে গৃহশিক্ষক ও শাবলিকে পবিরারের সদস্যরা খুঁজে পাচ্ছেন না ।
এই ঘটনায় শ্বশুর মজলিস মিয়া বাদী হয়ে রাঙ্গুনিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অন্যদিকে মেয়ের কেনো সন্ধান না পেয়ে শাবিলির পিতা আবদুল মালেকও দিশেহারা।
রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়ালি উল্লা অলি জানান, শাবলি প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেছে বলে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি আমরা তদন্ত করে দেখছি।