adv
২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজনৈতিক স্বার্থে বঙ্গবন্ধুকে কলুষিত করার অপচেষ্টা চলছে

indiaaaaaaaaaডেস্ক রিপোর্ট : কয়েক ঘণ্টা পরেই ঐতিহাসিক ১৫ আগস্ট। ভারতের ইতিহাসে ১৫ আগস্ট এক আনন্দের দিন, অনুপ্রেরণার দিন। ৬৭ বছর আগে এই দিনে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি লাভ করে স্বপ্নভরা হৃদয়ে মাতাল হয়ে ওঠে ভারত। আজকের এই দিনে স্বাধীনতার কাঙ্খিত স্বাদ পায় ভারত। এই ঐতিহাসিক দিনে নিজেদের দখল করা ভূমি থেকে সাম্্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ শাসকদের বিতাড়িত করতে সমর্থ হয় ভারত।
তবে স্বাধীনতার অনেক মূল্য দিতে হয়। স্বাধীনতা লাভের পর ধর্ম ও জাতিতত্ত্বের যৌক্তিকতায় ভারতবর্ষ ভেঙ্গে হিন্দুস্তান ও পাকিস্তান নামে দুটি ভিন্ন ভিন্ন রাষ্ট্রের জন্ম হয়। স্বাধীনতা লাভের পর থেকে পৃথিবীর ভূস্বর্গ খ্যাত কাস্মির আজ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর পদচারণায় নিজস্ব সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলেছে। সম্ভবত পৃথিবীর কোথায় এত সেনা মোতায়েন করা হয়নি সেটি কাশ্মীরে করা হয়েছে।
আজকের দিনে অর্থাত ১৪ আগস্ট দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভ করে ভারতবর্ষ থেকে বিছিন্ন হয়ে পড়ে। সেই চব্বিশ ঘন্টার আগের স্বাধীনতা পাকিস্তান রাষ্ট্রের ছোট অংশ পূর্ব পাকিস্তানের বাংলা ভাষাভাষী জনগণের জন্য পরবর্তী ২৪ বছরের নির্যাতন, নিপীড়ন ও বঞ্চনার ইতিহাসে পরিণত হয়। বৃটিশ সাম্রাজ্য থেকে বিছিন্ন হয়ে ভারত সরকার যে দিন স্বাধীনতা লাভ করে নতুন করে বিশ্বের দরবারে মাথা তুলে দাঁড়াবার চেষ্টায় মত্ত ঠিক সেই দিনই ৭৫ সালের ১৫ আগস্টে দক্ষিণ এশিয়ার নব্য স্বাধীন দেশের মহান নেতা বঙ্গবন্ধুকে উগ্রপন্থীরা স্বপরিবারে হত্যা করে।
জীবনের প্রথম দিকে ২০ বছর বয়সে শেখ মুজিব কায়েদে আজম মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ’র আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে মুসলিম লীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীতে মুজিব যখন বুঝতে পারলেন যে দলের জন্য মিছিল, মিটিং, আন্দোলন করছেন সেই রাজনৈতিক দল পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের স্বাধীনতা, দাবি-দাওয়া, সমঅধিকার দিতে রাজি নন। জীবনের ভুল বুঝতে পারলেন ততকালীন তরুন নেতা শেখ মুজিব।
ইতিহাসের যে দায় রয়েছে বা ইতিহাস যে সত্যতা নিশ্চিত করতে পারে সেটি হয়ত অনেকে ভুলে গেছেন। ২০১৩ সালের শেষ দিকে পাকিস্তান বিরোধী মোর্চা বের করে গুলশান দূতাবাস অভিমুখে গণজাগরণ মঞ্চের নেতা কর্মীরা রওনা হলে পুলিশি বাধার ঘটনাগুলো ইতিহাসের ভিন্ন চিত্র তুলে ধরে। ইতিহাসের যে ভিন্নতা ও বহুমাত্রিক ভাব রয়েছে সেটি হয়ত অনেকে ভুলে গেছেন।
আজকের বাংলাদেশে অনেক বিয়োগান্তক ঘটনার সূত্রপাত হচ্ছে। চারিদিকে আজ নিরাপত্তাহীনতা, চারিদিকি অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। এসব কারণে আজকের বিভিন্ন জাতীয় আলোচনা, বিতর্ক, খেলাধুলার প্রসঙ্গে এসব বিষয়গুলো উঠে আসছে। আজকে বিভিন্ন ইস্যু কৃত্রিমভাবে তুলে ধরা হচ্ছে। একজন মানুষ যিনি জীবনের অনেকটা অংশ পাকিস্তানের স্বাধীনতা তদুপরি পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা আন্দোলনের সংগ্রামে ব্যস্ত সময় পার করার পর কিভাবে সময়ের বিবর্তনে প্রশংসিত হলেন, কিভাবে পরিবর্তীতে তা কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন ভাবে বিবেচনা করা যায়। সেটি মূলত চিন্তা ও আদর্শের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল।
আপনি যেভাবেই বিবেচনা করুন এটি কিন্তু সত্য যে বঙ্গবন্ধুর পুরোটা জীবন কিন্তু আবর্তিত হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন, মুক্তির আন্দোলনকে ঘিরে। বঙ্গবন্ধুর সারাটা জীবন কিন্তু আন্দোলনে আবর্তিত ছিল। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শ, দর্শনকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। আজকের রাজনীতিতে স্বার্থ লাভের আশায় বঙ্গবন্ধুকে কলুষিত করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার পরিপ্রেক্ষিতে ভিন্নভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সূত্র : ইউএনবি

 

জয় পরাজয় আরো খবর

adv
সর্বশেষ সংবাদ
সাক্ষাতকার
adv
সব জেলার খবর
মুক্তমত
আর্কাইভ


বিজ্ঞাপন দিন

adv

মিডিয়া