যুদ্ধের মাঝেই ফিলিস্তিনিদের ঈদ-২৪ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি হামাসের
ইমরুল শাহেদ : হামাস অবশেষে আরও ২৪ ঘন্টার যুদ্ধবিরতি মেনে নিয়েছে। বার্তা সংস্থা আল-জাজিরা জানিয়েছে, জাতিসংঘের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব এবং গাজার মানুষের ঈদ উদযাপনের কথা বিবেচনায় রেখে হামাসের সব ক’টি গ্র“প এই প্রস্তাব মেনে নেয়। কিন্তু এ বিষয়ে ইসরায়েল তাতক্ষনিকভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেনি। হামাস যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখান করার পর ইসরায়েল নতুনভাবে হামলা চালানো শুরু করেছে। হামাস যুদ্ধবিরতি মেনে নেওয়ার পর ইসরায়েল কি করবে তা আল-জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়নি। তবে ইসরায়েল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে বলে বার্তা সংস্থা আইআরআইবি জানিয়েছে। উল্লেখ্য, ১২ ঘন্টার যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর ইসরায়েল আরও ২৪ ঘন্টার যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু হামাস তা প্রত্যাখান করে এবং তেল আবিবসহ বেশ কয়েকটি শহরে ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালায়। জবাবে ইসরায়েল পুনরায় পরিসর বাড়িয়ে আকাশ, স্থল ও নৌপথে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলা শুরু করে। তাতে গাজার আরও পাঁচ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়। জাতিসংঘের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে হামাস নতুন হামলা চালানোর প্র¯‘তি হিসেবে ব্যবহার করবে ইসরায়েল, এই অভিযোগ তুলে ইসরায়েলি সেনারা গাজা ছেড়ে না যাওয়া পর্যন্ত নতুন কোনো যুদ্ধবিরতি মানবে না বলে জানিয়েছিল। আর ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, যুদ্ধবিরতি চলাকালেও হামাসের সুড়ুঙ্গের বিরুদ্ধে অভিযান বন্ধ করবে না তারা। এরপরই রোববার এক বিবৃতিতে হামাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে লড়াই আবার শুরু করার ঘোষণা দেয় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গাজার বেসামরিক জনগণের কল্যাণের কথা বিবেচনা করে যাতে সম্মতি দেয়া হয়েছিল, সেই মানবিক বিরতির এই সময়টিতে হামাসের অনবরত রকেট নিক্ষেপের জেরে এখন গাজা ভূখণ্ডে সেনাবাহিনী আবার আকাশ, নৌ ও স্থল পথে ততপরতা শুরু করতে যাচ্ছে।’ এই ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই গাজার বাসিন্দারা গাজা শহরের পূর্ব দিকে ব্যাপক গোলাবর্ষণের আওয়াজ শোনা যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
শনিবারের যুদ্ধবিরতি শেষে হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসাম বিগ্রেড ইসরায়েলে দুটি দীর্ঘ পাল্লার ও পাঁচটি স্বল্প পাল্লার রকেট নিক্ষেপ করার কথা জানিয়েছিল। বিবিসি জানিয়েছে, ৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া গত ২০ দিনের ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ১০৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের অধিকাংশই বেসামরিক, আর ইসরায়েলের পক্ষে ৪৩ সেনা ও তিন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তবে হামাসের কত জন সদস্য এ পর্যন্ত নিহত বা আহত হয়েছেন তা গণমাধ্যমের খবর থেকে জানা যায়নি।