adv
২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘বেগম জিয়ার কমিটি সরকারের কিছুই করতে পারবে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক : কোনো সম্মেলন না করে বিএনপির ঢাকা মহানগর কমিটি করায় খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, একটা সম্মেলনেও করেননি। ঢাকা মহানগর কমিটি করে আব্বাস সাহেবকে আহ্বায়ক করলেন। তিনি প্রবীণ রাজনীতিবিদ। তাকে দিয়ে ঢাকা মহানগর কমিটি একবার নয়, একশবার পরিবর্তন করলেও সরকারের কিছুই হবে না। কারণ দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা। আব্বাস সাহেব সারাদিন রাস্তায় বসে থাকলেও কিছু হবে না।
বিএনপির বর্তমান অবস্থার জন্য আব্বাস-খোকা-ফখরুল বা দলটির অন্য কোনো নেতা নন, খালেদা জিয়া নিজেই দায়ী বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে যুবলীগের ইফতার মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশে করে আশরাফ বলেন, আপনাদের এ অবস্থার জন্য আব্বাস না, খোকাও না, ফখরুল সাহেব না, দায়ী আপনি। কারণ আপনি গণতান্ত্রিক সরকারের অধীনে নির্বাচনে আসেননি। কতবার কত কমিটি করলেন। দোষটা হলো ওদের আর পূণ্যি হলেন আপনি। এ বাস্তবতা এখন আর নেই।
আশরাফ বলেন, বিএনপি নেতাদের সঙ্গে আমাদের দেখা হয়, কথা হয়। তাদেরকে অনেক দিন ধরে চিনি। তারা এখন চরম হতাশ। আহ্বায়ক কমিটিতে নাম দিতে গেলে অনেকে ঢাকা ছেড়ে পালান। এ সময় উপস্থিত নেতা-কর্মীরা বিএনপিকে টিপ্পনি কাটেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনার রাজনীতির স্ট্র্যাটেজি পরিবর্তন না করলে ঢাকা মহানগর কমিটি, স্থায়ী কমিটি পরিবর্তন করেও কাজ হবে না। আসলে তাদের কোনো দোষ নেই। সব দায়-দায়িত্ব আপনার ওপরই পড়বে।
রাজনীতিতে আলোচনা চলবে মন্তব্য করে আশরাফ বলেন, আমরা সেনাবাহিনী কিংবা অস্ত্রবাহিনী নই। যুদ্ধ করা আমাদের কাজ না। এখানে অস্ত্রের স্থান নেই। এই রোজার মাসে আপনার (খালেদা জিয়া) প্রতি আহ্বান, রাজনীতির পথ আলোচনার পথ, শান্তির পথ। হুমকি ধমকি দেয়া বন্ধ করেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ ধরনের আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। আশা করি, ঈদের পর আন্দোলন না করে নিজেকে বিশ্লেষণ করবেন, আপনার আত্ম উপলব্ধি হবে। তিনি বলেন, কাজের মেয়ে মর্জিনা আপনাকে হাত ধরে নিয়ে ক্ষমতায় বসাবে- এটা ভাবা অবান্তর। হুমকি ধমকি না দিয়ে জনগণের কাতারে আসুন।
বিএনপির সমালোচনা করে আশরাফ বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের কথাবার্তা শুনলে মনে হয়- রাত পোহালেই তারা সরকারকে নামাবেন। বিএনপি ক্ষমতা দখল করবে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের কিছুই হবে না। আপনাদের বলে রাখি- আমরাও আপনাদের মতো ইফতার মাহফিল করে বক্তব্য রাখতে পারতাম। কিন্তু সেটা করি নাই।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রীও তো ইফতার মাহফিল করেছেন কই সেখানে তো তিনি কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দেননি। আর বিএনপি নেত্রী প্রতি ইফতারে সরকারকে অশ্লীলভাবে সমালোচনা করেছেন যা, অনভিপ্রেত। সরকারকে সহযোগিতার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসুন। তা না হলে আপনারা কিছুই করতে পারবেন না।
আশরাফ বলেন, খালেদা জিয়ার বক্তব্যের ধরণ দেখলে মনে হয় তিনি দয়া করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখছেন। তিনি রাত পোহালেই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করবেন-এমন ভাব দেখান। মনে রাখবেন, এখন ১৯৭৫ সাল নয়। ওই সময় মারছিলেন বলে বারবার মারবেন। তাকে মারার সেই সুযোগ এখন আর নাই।
 
‘আহ বেচারা ফখরুল!’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বেচারা মন্তব্য করে আশরাফ বলেন, ফখরুল সাহেকের কথা কী আর বলব, বেচারা, আহ! বেচারা। এখনো বেচারা কিছু হয় নাই। তিনি অত্যন্ত সুবোধ বালকের মতো ইফতার মাহফিলে বক্তব্য দিচ্ছেন। তার শিকড় কোথায়? মুসলিম লীগে। আপনি যতই চেষ্টা করুন না কেন তারেক জিয়া আপনাকে স্থায়ী মহাসচিব করছে না। ছেলের বয়সী তারেক জিয়ার চাটুকারিতা না করে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে কীভাবে শক্তিশালী করা যায় সে বিষয়ে বক্তব্য রাখুন। ছেলের বয়সী কারও চাটুকারিতা করবেন না।”
যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন, দফতর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

 

জয় পরাজয় আরো খবর

adv
সর্বশেষ সংবাদ
সাক্ষাতকার
adv
সব জেলার খবর
মুক্তমত
আর্কাইভ


বিজ্ঞাপন দিন

adv

মিডিয়া