এমপি রহমতউল্লাহর হুংকার – ভোটে এমপি হইনি, উন্নয়ন করতে পারব না
ডেস্ক রিপোর্ট : ভাঙ্গা সড়ক, তার উপরে অসংখ্য ভাঙা ম্যানহোল। বর্ষা এলেই আবর্জনা ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। এরই মধ্যে বসবাস করে রামপুরার হাজিপাড়া মহল্লার বাসিন্দারা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সমস্যা সমাধানের প্রতিশশ্র“তি দিয়েও প্রতিশ্র“তি রাখেনি স্থানীয় সংসদ সদস্য এ.কে.এম রহমতুল্লাহ।
ঢাকার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের রাস্তাগুলোর করুন অবস্থা। রাস্তার অবস্থা দেখে মনে হয় এটা রাস্তা নয়, এটা যেন ময়লা ফেলার ডাষ্টবিন। এমনই পরিস্থিতিতে হাঁটতে হচ্ছে পথচারীদের। যখন এখানে বৃষ্টি পড়ে তখন এখানে হাঁটু পর্যন্ত পানি হয়। হাঁটু পর্যন্ত পানি হওয়ায় স্কুলের ছেলে মেয়েরা স্কুলে যেতে পারে না। এবং যারা বুড়ো মানুষ তারা তো বৃষ্টি হলে এ রাস্তা দিয়ে হাঁটতে পারে না।
রাস্তার ম্যানহোল খোলা থাকার কারণে বিপাকে পড়ছে হাজার হাজার মানুষ। তাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো যখন বৃষ্টি হয় তখন এই রাস্তা হাঁটু পানিতে তলিয়ে যায়। হাঁটু পানিতে রাস্তা তলিয়ে যাওয়ার কারণে এই ম্যানহোল দিয়ে ময়লা আবর্জনা বেরিয়ে পুরো রাস্তাকে নোংরা করে দেয়। এবং এই ম্যানহোলগুলো তলিয়ে যাওয়ায় এগুলো দেখা যায় না। ফলে অনেক মানুষ এই ম্যানহোলের ভিতর পড়ে যাচ্ছে এবং ঘটছে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
এলাকাবাসী বলেন, আমাদের বর্তমান সংসদ সদস্য এ.কে.এম রহমতুল্লাহ। তিনি এখানে কোনো উন্নয়ন মূলক কাজ করেনি। এবং আমরা বার বার বলার পরেও আমরা এই সমস্যার সমাধান পাচ্ছি না।
সংসদ সদস্য এ.কে.এম রহমতুল্লাহ বলেন, আমি এলাকার কোনো উন্নয়ন মূলক কাজ করতে পারব না। কারণ আমি যে নির্বাচনে জয়লাভ করেছি তা তাদের ভোটের জন্য নয়। তাই আমি এখানকার কোনো উন্নয়ন মূলক কাজ করতে পারব না।
তাকে যদি কাজের কথা বলা হয় তাহলে তিনি এলাকাবাসীর প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এ বিষয়ে যমুনা টিভির সাংবাদিকরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি তাদেরকে হুমকি ধামকি দিয়ে পাঠিয়ে দেন। এবং তিনি আরো বলেন, তোমরা আমাকে চেনো? এখানে ভুয়া সাংবাদিক সেজে এসেছো? এখনি আমি তোমাদের পুলিশে ধরিয়ে দেব। যমুনা নিউজ