adv
২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অপেক্ষায় ছাত্রদল – কী সিদ্ধান্ত দেন খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ানিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদের পর সরকার পতনের আন্দোলন শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। তার ঘোষণার পর এরইমধ্যে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির ততপরতা শুরু করেছে দলটির হাই কমান্ড। আন্দোলন জোরদার করতে সাংগঠনিক ততপরতা বাড়িয়ে দিয়েছেন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতারাও।
এমন পরিস্থিতিতে গোল বেঁধেছে বিএনপির ভ্যানগার্ড হিসেবে পরিচিত ছাত্রদল নিয়ে। তাদের বর্তমান কমিটি বহাল থাকবে, না কি নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে- তা নিয়ে মাঠ পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে চলছে নানা গুঞ্জন।
কমিটি পুনঃগঠন না হওয়ায় বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের তেমন কোনো কার্যকর ভূমিকা ছিলো না। এমনকি বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়াও ছাত্রদলের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাই নিজেদের সাংগঠনিক শক্তির পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে নেতা-কর্মীরা চেয়ে আছেন খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্তের দিকে। 
এ নিয়ে বিভিন্ন শাখার নেতা-কর্মীদের মধ্যেও চলছে নানা ধরনের হিসাব-নিকাষ। কাকে কোন পদে বসালে সাংগঠনিক কার্যক্রম চাঙ্গা হবে তা নিয়ে চলছে চুল-চেরা বিশ্লেষণ। কমিটি গঠনের বিষয়ে চলতি বছরের ফেব্র“য়ারিতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতও করেন সংগঠনটির নেতারা।

সূত্রমতে, দলের শীর্ষ পর্যায়ে থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে সে অনুযায়ী কাজ করার জন্য প্রস্তুত ছাত্রদল। তবে ছাত্রদলের বর্তমান কমিটি নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্তই দেয়নি বিএনপি চেয়ারপার্সন। এ কারণে স্থবির হয়ে আছে সাংগঠনিক কার্যক্রম। 
ছাত্রদলের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছাত্রদল সভাপতি আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিবের কারামুক্তির পর গত ৬ মে রাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত করতে গেলে আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রদলের নিস্ক্রিয়তা নিয়ে কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কার্যক্রম নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করনে বিএনপির চেয়ারপার্সন। তবে কেন্দ্রীয় কমিটি বহাল রাখা না রাখা নিয়ে ওই সময় কোনো দিক নির্দেশনা দেননি তিনি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রদল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের র্দীঘদিন কারাভোগের বিষয়টি বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিবেচনায় এসেছে। মানবিক কারণেই বর্তমান কমিটি বহাল রাখছেন খালেদা জিয়া। এদিকে ছাত্রদলের কমিটি ভেঙ্গে নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাংবাদিক নেতাদের তৈরি করা সুপারিশমালা নিয়ে আপাতত ভাবছেন না দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতারা। 
দলের একজন সিনিয়র নেতা বলেন, আগামী দিনে আন্দোলন সফল করতে হলে নতুন কমিটি গঠন না করে বর্তমান কমিটিকে সাংগঠনিকভাবে আরো শক্তিশালী করা দরকার। সংগঠনে পদ পাওয়ার জন্য নয়, দলের প্রতি কমিটমেন্ট ও ভালোবাসা থেকে কাজ করলেই আন্দোলন সফল করা সম্ভব। 
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব বলেন, নতুন কমিটি হবে, না বর্তমান কমিটিই থাকবে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে এখনো কোনো নির্দেশনা আমরা পাইনি। যদি কমিটি গঠনের নির্দেশনা আসে তবে আমরা নতুন কমিটি গঠনের প্রস্তুতি নেব। কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে যে নির্দেশনা দেবে আমরা সেটাই মেনে নিতে প্রস্তুত আছি। আগামী দিনের আন্দোলনের জন্য যে সব কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে সেগুলো পালন করতে আমরা প্রস্তুত।

জয় পরাজয় আরো খবর

adv
সর্বশেষ সংবাদ
সাক্ষাতকার
adv
সব জেলার খবর
মুক্তমত
আর্কাইভ


বিজ্ঞাপন দিন

adv

মিডিয়া