adv
২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারত নকশা পাঠিয়েছে শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবন নির্মাণে

thakur_bari_14722ডেস্ক রিপোর্ট: নোবেল জয়ী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবন নির্মাণের নকশা পাঠিয়েছে ভারত সরকার। চলতি জুন মাসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের ঢাকা সফরের আগে নকশা সম্পর্কে মতামত জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে ভারত সরকার।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দুই দেশের সংস্কৃতি বিনিময় চুক্তির আওয়তায় ভবনটি নির্মাণ করা হবে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ও যুগ্ম-সচিব সৈয়দ আকবরউদ্দিন জানান, শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবন নির্মাণের একটি নকশা প্রস্তুত করা হয়েছে। ভবনের নকশাটি খুবই আধুনিক। শান্তিনিকেতনে ইন্দিরা গান্ধী সেন্টারের পাশে বাংলাদেশ ভবন নির্মাণ করা হবে।
ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে জানা গেছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের ঢাকা সফরের আগেই নকশাটি বাংলাদেশ সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। ঢাকার মতামত পাওয়ার পরই নকশা সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ওই সময়ের ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বাংলাদেশ সফর করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবন নির্মাণের প্রস্তাব দেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবে সম্মত হয় ভারত।
পরবর্তী সময়ে চলতি বছরের ফেব্র“য়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে বাংলাদেশ ভবন নির্মাণের বিষয়টি চূড়ান্ত অনুমোদন করে দেশটি। পাশাপাশি ভবন নির্মাণের জন্য সুবিধাজনক ¯’ানে জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
জানা গেছে, জ্ঞানপিপাসু ও দেশটিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়ান স্টপ সেন্টারের মতো কাজ করবে বাংলাদেশ ভবন। এই ভবনে বাংলাদেশ সম্পর্কে গবেষণার বিস্তারিত তথ্য, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, ঐতিহ্য সংক্রান্ত স্মারক, চিত্রাবলিসহ বিভিন্ন বিষয় থাকবে।
উল্লেখ্য, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯২১ সালে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। যা শান্তিনিকেতন নামেও পরিচিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পেছনে বিশ্বকবির উদ্দেশ্য ছিল দেশটির পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন করা। ১৯৫১ সালে দেশটির সরকার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দেয়।
এদিকে, আন্তঃদেশীয় সংস্কৃতি বিনিময়ের উদ্দেশ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯৩৭ সালে নিজ হাতে শান্তিনিকেতনে চীন ভবন প্রতিষ্ঠা করেন। যার ধারাবাহিকতায় জাপানের সংস্কৃতির ধারক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয় নিপ্পন ভবন।

 

জয় পরাজয় আরো খবর

adv
সর্বশেষ সংবাদ
সাক্ষাতকার
adv
সব জেলার খবর
মুক্তমত
আর্কাইভ


বিজ্ঞাপন দিন

adv

মিডিয়া