বিজিএমইএ প্রধানের বক্তব্যে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র
ডেস্ক রিপোর্ট : পোশাক শ্রমিক নির্যাতনের অভিযোগ জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের কাছে চিঠি পাঠানোকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতা’ আখ্যা দিয়ে বিজিএমইএ সভাপতির বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রতিবেদকের প্রশ্নের উত্তরে এই প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন ডেপুটি মুখপাত্র ম্যারি হার্ফ।
ম্যারি বলেন, এই ধরনের বিবৃতিতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তা যদি সত্যি হয়, তাহলে তা খুবই জঘন্য এবং কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বাংলাদেশের সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সুনাম রয়েছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সংগঠিত হবার সুযোগ রয়েছে। এ অবস্থায় এমন হুমকি অথবা ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে সুশীল সমাজের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা চালানোর চেষ্টা হলে তার দায় সব বাংলাদেশিকেই নিতে হবে।
গত ১০ জুন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় বাংলাদেশ থেকে পাঠানো একটি চিঠি দেখিয়ে শ্রমিক নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন কয়েকজন মার্কিন কংগ্রেসম্যান।
সোমবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে জিএমইএ সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, এদেশে আইন আছে, আদালত আছে। তারপরও কাউকে না জানিয়ে যারা বিদেশে এ ধরনের অভিযোগ করে তাদের রাষ্ট্রদ্রোহিতার দায় নিতে হবে।
চিঠিটি পাঠান ন্যাশনাল গার্মেন্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের (এনজিডব্লিউএফ) সভাপতি আমিরুল হক আমিন। সংগঠনটি ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিলের সদস্য।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আমরা সব জায়গায় খোঁজ নিয়ে দেখেছি, এ চিঠি দেশের কাউকে দেওয়া হয়নি। ভালুকার পুলিশ, বিজিএমইএ, শ্রম মন্ত্রণালয়- কোথাও ওই অভিযোগ জানানো হয়নি। আমরা চিঠিটি পেয়েছি কংগ্রেসম্যানদের কাছ থেকে। এটা দেশের ভাবমূর্তিকে অসম্ভবভাবে ক্ষুণœ করেছে।
সোমবার বিজিএমইএ ভবনের ওই অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদও শ্রমিক নির্যাতনের অভিযোগকে মিথ্যা বলে অভিহিত করেন।