ধর্ষিতা নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে নষ্টা বললেন আওয়ামী লীগ নেতা
ডেস্ক রিপোর্ট: ইশ্বগঞ্জে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীকে নষ্টা বলে আখ্যা দিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতা। ধর্ষককে প্রতিবেশীরা হাতেনাতে ধরে ফেললে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বিচার করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেন। শোনা যাচ্ছে, তিনি মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ধর্ষককে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছেন। ঘটনার ১০ দিন পার হলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে তিনি বলেন, ও একটা নষ্টা মেয়ে। আপনাদের এই বিষয়ে এতো মাথা ব্যাথা কেন? আর বিচার যা হবার আস্তে ধীরে হবে।
উল্লেখ্য, ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার গাঙাইল ইউনিয়নের উন্দাইল গ্রামের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে গত ৬ জুন পাশের তালজাঙ্গা গ্রামের সিরাজ বেপারীর বখাটে ছেলে মাসুম মিয়া ধর্ষণ করে।
এদিকে ওই আওয়ামী লীগ নেতার হুমকি-ধমকিতে মেয়েটির বাবা মামলা করতে সাহস পাচ্ছেন না। থানায় ওসির কার্যালয়ে নির্যাতিত মেয়েটির বাবা বলেন, মেয়ের সম্মান নষ্ট করেছে মাসুম। এ মেয়েকে কোথায় বিয়ে দেবেন! আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মান্নান আশ্বাস দিয়েছেন, মাসুমের সঙ্গে তাঁর মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করে দেবেন। সেই আশ্বাস পেয়ে তিনি মাসুমের বিরুদ্ধে মামলা করতে রাজি হচ্ছেন না। কিন্তু ১০ দিন পার হলেও এখনো বিচারের ব্যবস্থা করেননি আবদুল মান্নান।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম কনক জানান, অর্থের বিনিময়ে আবদুল মান্নান ও তাঁর সহযোগীরা ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে স্কুলছাত্রীকে হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে অন্য স্থানে রেখেছেন। মাসুমকেও অজ্ঞাত স্থানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে গাঙাইল ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান খোকন বলেন, সব ঠিক হয়ে যাবে একটু ধৈর্য ধরেন। এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম ফরাজী জানান, ওই ঘটনায় থানায় ডায়েরি করা হয়েছে। যেকোনো সময় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।