adv
২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক হল ছাড়তে বাধ্য হলেন

 

 

 

 

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’ অনুষ্ঠানে গিয়ে হয়রানির শিকারে আন্দোলনকারী এক ছাত্রীকে ‘শিবির’ অভিযোগে মারধর করেন হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে সাধারণ শিক্ষার্থী এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে হল থেকে বের নিতে বাধ্য হয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখ থেকে রক্ষা করতে কুয়েত-মৈত্রী হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আজমিরা বিনতে জামান নীলা ও সাধারণ সম্পাদিকা লিসা চাম্বুগংকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আমজাদ আলী হল থেকে বের করে নিয়ে যান।
হল সূত্রে জানা গেছে, আন্দোলনের জের ধরে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দর্শন চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী সুমাইয়া ইসলামকে ‘শিবির’আখ্যা দিয়ে মারধর করে ছাত্রলীগের নেত্রীরা। পরে সাধারণ ছাত্রীরা একত্রিত হয়ে হল ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদিকাকে জুতাপেটা ও গণধোলাই দেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং হল কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সাধারণ ছাত্রীরা এসময় ছাত্রলীগের নেত্রীদের রুমে অবরুদ্ধ করে রাখেন এবং প্রক্টরের সামনেই তাদের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে সাধারণ ছাত্রীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বৈঠকে বসেন। দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টার বৈঠক শেষে রাত দেড়টার দিকে কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় ছাত্রলীগের দুই নেত্রীকে হল থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরপরই হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আনন্দ মিছিল ও উল্লাস করেন।
এদিকে ওই ছাত্রীকে মারধরের ঘটনায় হল প্রভোস্ট ফরিদা বেগমকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রক্টর এম আমজাদ আলী।
বুধবার বিশ্ব রেকর্ড গড়ার লক্ষ্যে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে গিয়ে হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ কুয়েত-মৈত্রী হলের ছাত্রীরা। এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা চাইতে বুধবার রাত সোয়া ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের বাস ভবনে যান তিন শতাধিক ছাত্রী। বুধবার রাতে আন্দোলনরত কুয়েত-মৈত্রী হলের ছাত্রীরা ভিসির সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশে হল থেকে বের হতে গেলে হলের মূল ফটক আটকে দেয় কর্তৃপক্ষ। 
পরে ছাত্রীরা ফটকের তালা ভেঙে বের হন। এ সময় কয়েকজন ছাত্রী ছাত্রলীগ কুয়েত-মৈত্রী হল শাখা সভাপতি আজমীরা বিনতে জামানের একটি ব্যানার ছিঁড়ে এতে আগুন ধরিয়ে দেন। আর এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এবং ‘শিবির’ সন্দেহে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে দর্শন বিভাগের ওই ছাত্রীকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে মারধর করেন আজমীরা ও ছাত্রলীগের কয়েকজন নেত্রী।
পরে ওই ছাত্রীর সহপাঠীরা বিক্ষোভ করলে হল প্রভোস্টের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় কয়েকজন ছাত্রী ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকে মারধর করেন বলে জানা যায়। পরে প্রাধ্যক্ষের কার্যালয়ে প্রাধ্যক্ষ, আবাসিক শিক্ষক, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টররা বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসেন। এ সময় ছাত্রীদের তোপের মুখে আজমীরা ও লিসাকে হল থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

 

জয় পরাজয় আরো খবর

adv
সর্বশেষ সংবাদ
সাক্ষাতকার
adv
সব জেলার খবর
মুক্তমত
আর্কাইভ


বিজ্ঞাপন দিন

adv

মিডিয়া