প্যাকেটে স্যালাইন ছিল না : হাছান মাহমুদ
নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গতকাল লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা অনুষ্ঠানে যে খাবার দেয়া হয়েছিল। তাতে আমার প্যাকেটে কোনো স্যালাইন ছিল না।বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কালীমন্দিরে ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ রমনা কালীমন্দির ও মা আনন্দময়ী আশ্রমের গণহত্যা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।গতকাল লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা অনুষ্ঠানে খাবারের প্যাকেটে ইবনে সিনার স্যালাইন পাওয়া গেছে। তাহলে কী স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে সরকার আতাত করেছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, এবিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না। কিন্তু আমার খাবার প্যাকেটে কোনো স্যালাইন পাইনি।গতকালের অনুষ্ঠানে বিএনপিকে দাওয়াদ দেয়া হয়নি এমন দাবি ভিত্তিহীন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি অভিযোগ করছে আওয়ামী লীগ এককভাবে লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।এখানে মুক্তিযোদ্ধাদেরকেই দাওয়াত দেয়া হয়নি। আমাদের দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তাদের এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। এখানে কাওকেই দাওয়াত দেয়া হয়নি। সবাই দেশমাতৃকার প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে যোগ দিয়েছে।বিএনপি নিজেরাই জাতীয় সংগীত গাওয়ার অনুষ্ঠানে যায়নি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আবারও প্রমাণ হয়েছে তারা স্বাধীনতাবিরোধী। পাকিস্তানপন্থি। মুক্তিযুদ্ধেও চেতনা তাদের মাঝে বিন্দুমাত্র নেই। তাই তারা আসেনি।অভিযোগ করা বিএনপির পুরোনো অভ্যাস উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ থেকে তারা বের হতে পারেনি।বিএনপির নামধারী মুক্তিযোদ্ধারা গতকাল অনুষ্ঠানে আসেনি। কিন্তু হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধারা গতকাল ওই অনুষ্ঠানে এসেছে যোগ করেন তিনি।জিয়াউর রহমান দেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান মুজিবনগর সরকারের সময় ৫শ টাকা বেতনের কর্মচারী ছিলেন। সরকারি নথি-পত্র দেখলে প্রমাণিত হয়ে যাবে। তিনি কীভাবে দেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট দাবি করেন।এসময় তিনি বলেন, আর কিছুদিন পর বিএনপির চেয়ারপার্সন এবং তারেক রহমান দাবি করতে পারে টিক্কা খানের সহায়তায় বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার সভাপতিত্বে আরও উপাস্থিত ছিলেন-স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল, কৃষক লীগের সহ-সভাপতি এম এ করিম প্রমুখ।