চার বছরের শিশুকে পুড়িয়ে মারলো পাষণ্ড বাবা
ঢাকা: অন্ধ বিশ্বাস আর কুসংষ্কার মানুষকে যে কতটা অন্ধ করে দেয়, তারই জলন্ত প্রমান নাইজেরিয়ার চার্লস এলভিস। গত ১০ ফেব্রুয়ারি সে তার ‘অশুভ শিশু’ গোদরিচকে আগুনে পুড়িয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।
রাজধানী লাগোসের মেইরান এলাকার বাসিন্দা চার্লস এলভিসের(৩০)দিনকাল ভালো যাচ্ছিল না। এ জন্য সে তার শিশুপুত্রটিকে দায়ী করতে থাকে। সে মনে করত তার ছেলে গোডরিচ(৪) হচ্ছে একটি অশুভ শিশু এবং সে জীবিত থাকলে তার সংসারের অবস্থা আর ভালো হবে না। এজন্য সে মনে মনে বাচ্চাটিকে খুন করার পরিকল্পনা করে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি তার স্ত্রী বাজারে যাওয়ার পর সে একা ঘরে অবুঝ শিশুটির ওপর হামলে পড়ে।
প্রথমে সে গোডরিচকে মারতে শুরু করে। বাচ্চাটির কান্না যাতে প্রতিবেশীদের কানে না যেতে পারে এজন্য সে ওর মুখে একটি তালা ঝুলিয়ে দেয়। পরে একটি লোহার দণ্ড আগুনে পুড়িয়ে তার সারা শরীরে স্যাঁকা দেয়। এরপর শিশুটিকে একটি প্লাস্টিকের ড্রামে ঢুকিয়ে তালা দিয়ে দেয়। পরে বাচ্চাটির মা বাজার থেকে ফিরে এসে মৃত পুত্রকে ড্রাম থেকে উদ্ধার করে। তখন সে পুলিশে খবর দেয়।
এ ঘটনায় এলভিসের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে ধরার পর আইনের হাত থেকে বাঁচতে প্রথমে সে পাগলের ভান ধরেছিল। কিন্তু বিচারকরা তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ বলে ঘোষণা করেছেন।