সহজ হলো বৈদেশিক মুদ্রা নগদায়ন
ঢাকা: বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের সুবিধার্তে অন্তমুর্খী রেমিট্যান্স নগদায়ন করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি লাগবে না। এর আগে অনুমতি নিয়ে গ্রাহদের নগদায়ন করতে প্রায় দুই মাস সময় লাগতো। তবে নগদায়ন করতে সংশ্লিষ্ট দলিলাদি যেমন ইনভয়েস, চুক্তিপত্র প্রাপ্তি সাপেক্ষে গ্রাহকের আবেদনপত্র ও প্রযোজ্য কর দিতে করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী সব অনুমোদিত ডিলার ও ব্যাংকের প্রধান কার্যলয়ে পাঠিয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে নিবন্ধিত নয় এমন কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে স্থানীয় এজেন্ট, ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা বা কর্মকর্তার ভূমিকায় কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ১৯৪৭ সালের বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৮-এ ধারার আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সাধারণ বা বিশেষ অনুমতি গ্রহণ করতে হয়।
ওই অনুমতির সূত্রে স্থানীয় এজেন্ট তাদের বিদেশি প্রিন্সিপালের কাছ থেকে কমিশন বা সার্ভিসচার্জ বাবদ প্রাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা নগদায়ন করতে পারে। ওই ধারা অনুযায়ী স্থানীয় এজেন্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমতি ছাড়া এজেন্সি সার্ভিসের বিপরীতে ওয়ান অব ব্যাসিস প্রাপ্ত অন্তমুর্খী রেমিট্যান্স নগদায়নের সুযোগ ছিল না।
কিন্তু এখন থেকে গ্রাহক স্বার্থে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন ব্যবস্থা উদারীকরণের ধারাবাহিকতায় এজেন্সি সার্ভিসের বিপরীতে ওয়ান অব বেসিস এ প্রাপ্ত অন্তমুর্খী রেমিট্যান্স নগদায়নের নিমিত্তে সংশিষ্ট দলিলাদি যেমন ইনভয়েস, চুক্তিপত্র ইত্যাদি প্রাপ্তি সাপেক্ষে গ্রাহকের আবেদনের যথার্থতা ও সঠিকতা সম্পর্কে সন্তুষ্ট হওয়া সাপেক্ষে এবং প্রযোজ্য সমুদয় কর কর্তন করে আসা রেমিট্যান্স বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমতি ছাড়াই অনুমোদিত ডিলাররা নগদায়ন করতে পারবেন।