বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা প্রথম ওয়ানডে সোমবার
ঢাকা: মিরপুর টেস্টে সাড়ে তিন দিনে হার। আর চট্টগ্রাম টেস্টে কল্পনাকে হার মানিয়ে পাঁচ দিনে ড্র। আর এরপর চট্টগ্রাম উইকেটে মুশফিককে বাদ রেখে দল সাজাতে বাধ্য হওয়া। অধিনায়ক দ্বিতীয় টেস্টে ইনজুরি আক্রান্ত। মাশরাফিকে অধিনায়ক করে বিসিবি ঘোষণা দেবার পর ক্রিজে দুই টি-২০ ম্যাচেই শেষ বল পর্যন্ত লঙ্কানদের জয়ের জন্য অপেক্ষা। সবই পেছনের দৃশ্য।
কারণ সোমবার মিরপুরের উইকেটে মুশফিকরা এক দিনের ম্যাচে লঙ্কানদের বিপক্ষে নতুন মিশন শুরু করবে। আর এই সিরিজ হবে দুই দলের জন্য এশিয়া কাপে ড্রেস রেহার্সেল। কারণ ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এশিয়া কাপে অংশ নেবে বাংলাদেশ, লঙ্কা, ভারত, পাকিস্তান আর আফগানিস্তান। এই সিরিজে যারা জয়টা আয়ত্ব করবে এশিয়া কাপে তাদের মানসিক শক্তি বেড়ে যাবে।
তবে পরিসংখ্যান বলছে লঙ্কানদের ফেভারিট তকমা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু লঙ্কান মাটিকে সর্বশেষ সাক্ষাতে আর মুশফিকদের ঘরের মাঠে দুইটা-তেই জয় মুশফিকদের মানসিকভাবে অবশ্যই এগিয়ে রেখেছে। তাছাড়া লঙ্কানরা চট্টগ্রামে বার বার বলেছে সীমিতো ওভারের ম্যাচে বাংলাদেশ বিপদজনক দল।
এ কথাগুলো যে সত্য তা মাঠেই মুশফিকরা প্রমাণ দিয়ে বিগত বছরগুলোতে। ২০১২ সালে এশিয়া কাপে লঙ্কাকে আর ভারতকে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলেছিল। তাই লঙ্কানদের ওডিআই ম্যাচে হারানোটা বাংলাদেশের জন্য অতিমাত্রায় স্বপ্ন বিলাস নয়। যদিও পরিসংখ্যান লঙ্কানদের পক্ষেই কথা বলে। তবে বিগত কয়েক বছরে মুশফিকের মাঠের পারফর্মেন্স বলে অন্য কথা। অভিজ্ঞতার কিছু ঘাটতি থাকলেও দিন দিন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ম্যাচে কঠিন পরিস্থিতিতে কি করে নিয়ন্ত্রণ করতে হয় তা শিখতে শুরু করেছে। তা তো চট্টগ্রামে দেখানো হয়েছে দুবার।
বিগত ১৯৮৬ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ৩৩টি ওডিআই ম্যাচে বাংলাদেশ মাত্র চারটি ম্যাচে জিতলেও সর্বশেষ জয়ের হিসেবটা মুশফিকদের খাতাতেই লেখা হয়েছে। ২০১৩ সালে পালেক্কেলেতে তিন উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০১২ সালে মিরপুরে এশিয়া কাপে পাঁচ উইকেটে জয়টা তো এখনও তাজা স্মৃতি হয়ে আছে। আর তৃতীয় জয়টা ছিল ২০০৯ সালে মিরপুরেই ত্রিদেশীয় সিরিজে। এবং লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম জয়টা এসেছিল ২০০৬ সালে বগুড়াতে চার উইকেটে।
২০১২ সালে এশিয়া কাপে লঙ্কানদের বিপক্ষে ওডিআই খেলার প্রায় দুই বছর পর নিজ মাটিতে সিরিজ খেলবে মুশফিকরা। নিজ মাটিতে শেষ ম্যাচে জয় পাওয়ার স্মৃতি অবশ্যই এগিয়ে রাখবে বাংলাদেশকে। সেই দলে ছিলেন মুশফিক, সাকিব, তামিম, মাশরাফি, নাসির, মাহমুদুল্লাহরা। এবার দল থেকে বাদ পড়েছেন স্পিনার রাজ্জাক, পেসার নাজমুল, শাহদাত হোসেন আর জহুরুল ইসলাম। পারফর্মেন্সের ভিত্তিতে দলের যারা বাদ পড়েছেন তারা ছাড়া বাকিরাই মূলত দলের কাণ্ডারি। এছাড়া ওডিআই দলে আসা আনামুল হক-মমিনুল হক নতুন হলেও তারকাখ্যাতি পেয়ে গেছেন। আর নাইম ইসলাম তো পুরাতন পরীক্ষিত সৈনিক