মিরসরাইয়ে সামাজিক বনায়ন প্রকল্পে অগ্নিকাণ্ডে অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি
মিরসরাই: মিরসরাইয়ের পাহাড়ে সামাজিক বনায়ন প্রকল্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫০ লক্ষ টাকারও বেশি মূল্যের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থরা। তবে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত কিভাবে হয়েছে তা জানা যায়নি।
শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে মিরসরাই উপজেলা সদরের পূর্বে গোভনীয়া বিটের আওতাধীন আমবাড়িয়া এলাকার একটি পাহাড়ে এই অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ছয় একর সামাজিক বনায়ন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন বাগানের মালিক নাসির উদ্দিন নিজামী, জাহাঙ্গীর আলম, শহীদুজ্জমান নূর, জয়নাল আবেদীন মেম্বার, কামাল উদ্দিন, মোর্শেদ হোসেন, সেলিম উদ্দিন, খায়ের হোসেন এবং সুমন হোসেন।
বাগান কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১০ সালে মিরসরাইয়ের একটি পাহাড়ে সরকার ও ১২ জন উপকারভোগীর যৌথ মালিকানায় সামাজিক বনায়নের আওতায় ২৫ বছর মেয়াদী সেগুণ ও অন্যান্য প্রজাতির মূল্যবান গাছের বাগানটি গড়ে তোলা হয়। বাগানে চারা রোপণ ও পরিচর্যা বাবদ এ পর্যন্ত খরচ হয়েছিল ১২ লক্ষাধিক টাকা। পুড়ে যাওয়ার আগে বাগানটিতে সাত হাজারেরও অধিক সেগুণ ছাড়াও অন্যান্য প্রজাতির আরো দুই হাজার মূল্যবান কাঠের গাছ ছিলো, যেগুলোর আনুমানিক মূল্য অর্ধ কোটি টাকারও বেশি। আগামী ১০ বছরের মধ্যে গাছগুলো কাটার উপযুক্ত হতো বলেও জানিয়েছেন বাগানের মালিকেরা।
বাগান মালিকদের একজন- জাহাঙ্গীর আলম এই অগ্নিকাণ্ডের পর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, “অগ্নিকাণ্ডের কারণে আমরা সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। এই বাগানে সরকারেরও মালিকানা ছিল। কিন্তু এই অগ্নিমাণ্ডের কারণে আমরা উপকারভোগীরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। কারণ সরকারি জায়গা হলেও বাগান করতে পুরো খরচ বহন করতে হয়েছে আমাদেরকেই।”
এ সময় বাগানে দুর্বৃত্তরা অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়েছেন অভিযোগ করে সরকারিভাবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান এবং পুনরায় বাগান করার সহযোগিতার জন্য দাবি জানান তিনি।
এই প্রসঙ্গে গোভনীয়া বনবিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য নছর উদ্দিন জানান, “পাহাড়ের ওই জায়গায় পানি বা আগুন নেভানোর কোন সুবিধা না থাকায় অনেক চেষ্টা করেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। তবে আগুন যাতে পাশ্ববর্তী পাহাড়ের বাগানগুলোতে ছড়াতে না পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।”
বাগানটিতে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইমতিয়াজ ভূঁইয়া বলেন, “বাগানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনারয় কেউ এখনো কোন অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পাওয়া গেলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।