প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসকে উৎসাহ দিচ্ছেন
ঢাকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আত্মরক্ষার কথা বলে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসকে উৎসাহ দিচ্ছেন। রাষ্ট্রযন্ত্রের মাধ্যমে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড মানবতা বিরোধী অপরাধ।’
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক স্মরণসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংসদে দেয়া বক্তব্যের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। ‘গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা রক্ষার’ চলমান সংগ্রামে নিহত মাসুদ রায়হানসহ ‘শহীদদের’ স্মরণে এ সভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর জাগপা।
প্রধানমন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি কোনো সন্ত্রাস করেনি, সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে না। কারা সন্ত্রাস করে জনগণ জানে। এখন সারাদেশে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চলছে। সংসদে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা আত্মরক্ষার কথা বলে মূলত রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দিয়েছেন। তিনি বিচার বর্হিভূত হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদেরও আত্মরক্ষার অধিকার আছে। প্রধানমন্ত্রী যে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন তার জন্য একদিন তাকে জবাবদিহি করতে হবে।’
ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোনো আন্দোলনেই ব্যর্থ হয়নি। হয়ত সময় একটু লাগতে পারে, তবে জয় আমাদেরই হবে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় রয়েছে অস্ত্রের জোরে। প্রমাণিত হয়েছে হাসিনার অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় কোনো আফসোস নেই।’
টকশোর আলোচকদের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কিছু বুদ্ধিজীবী রাতে টিভি টক-শোতে এসে বলে বিএনপি আন্দোলন করে কী ভুল করেছে। অথচ তারা একবারও আলোচনা করে না সরকার কী ভুল করেছে। সরকার যে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে দাফন করিয়ে দিয়েছে, তা নিয়ে কোনো কথা বলছে না।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ বক্তব্য নদেন।