আন্দোলনকারীরা আসামি, অস্ত্রধারীরা বাদ
রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের সশস্ত্র হামলার ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মতিহার থানায় দুটি মামলা দায়ের করেছেন রাবি রেজিস্ট্রার প্রফেসর এন্তাজুল হক। মামলায় ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অপরদিকে, একই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেছে। যে মামলায় আসামি করা হয়েছে শতাধিক শিক্ষার্থীকে। এর মধ্যে আটক এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তবে প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানোর সঙ্গে জড়িত চিহ্নিত ছাত্রলীগ নেতার কারোরই নাম মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়নি। মামলা দায়েরের কথা নিশ্চিত করে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুন নূর বাংলামেইলকে জানান, রাবি রেজিস্ট্রার বাদী হয়ে দুটি ও পুলিশ বাদী হয়ে আরো একটি মামলা করেছে। তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না। ওসি শামসুন নূর আরো জানান, দায়ের করা মামলাগুলোতে আন্দোলনকারীদেরই আসামি করা হয়েছে। ছাত্রলীগের কোনো নেতাকে অভিযুক্ত করা হয়নি। এছাড়া গতকাল রোববার ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় রাবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদিকে, সকাল ৯টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিলেও প্রশাসনের প্রশ্রয়ে ছাত্রলীগ নেতারা এখনও হলে অবস্থান করছে। এছাড়া রোববারের সহিংসতার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে রাবি শাখা ছাত্রলীগ। সোমবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে তারা। উল্লেখ্য, গত রোববার সকালে বর্ধিত ফি প্রত্যাহার ও সান্ধ্যকালীন কোর্স বন্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে হামলা চালায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। দফায় দফায় চালানো এ হামলার ঘটনায় অর্ধশত গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় শতাধিক শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় রাতে রাবি সিন্ডিকেটের জরুরি সভা ডাকা হয়। সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক অনির্দিষ্টকালের জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) বন্ধ ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে সোমবার সকাল ৮টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।