দ্বিতীয় দফায় ১১৭ উপজেলায় ভোট ২৭ ফেব্রুয়ারি
ঢাকা: দ্বিতীয় দফায় ১১৭টি উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশনার। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় কমিশন সচিবালয়ে এ তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার রকিব উদ্দীন আহমদ। ঘোষণা অনুযায়ী, দ্বিতীয় দফায় ১১৭ উপজেলায় ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সে মোতাবেক মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২ ফেব্রুয়ারি, যাচাইবাচাই ৪ ফেব্রুয়ারি, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ১১ ফেব্রুয়ারি। এর আগে গত রোববার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রথম দফা ১০২টি উপজেলায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ২৫ জানুয়ারি, বাছাই শেষ হবে ২৭ জানুয়ারি এবং প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩ ফেব্রুয়ারি। আর প্রথম দফায় ১০২টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি।উল্লেখ্য, জাতীয় নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনেও সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রথম দফা উপজেলা নির্বাচনে মোট পাঁচ দিন সেনা মোতায়েন থাকবে। নির্বাচনের আগের ২ দিন, নির্বাচনের দিন ও নির্বাচনের পরের ২ দিন। নির্বাচনের দিন সেনাবাহিনী শুধু সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় থাকবে। তবে দ্বিতীয় দফায় কতো দিন সেনা থাকবে তা নির্দিষ্ট করে বলেননি সিইসি।সেনাবাহিনী কতদিন থাকবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। নির্বাচনের আগে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবো।’ নির্বাচনে সংসহিতা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকবে। জাতীয় নির্বাচন থেকে আমরা কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। নির্বাচনকালীন র্যাব, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, সেনাবাহিনী টহল অব্যাহত থাকবে। ভোটকেন্দ্র পুলিশ ও আনসার সার্বক্ষণিক দায়িত্বে থাকবে।’ এ নির্বাচনে রাজনৈতিক কোনো প্রভাব থাকবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে রকিবউদ্দীন বলেন, ‘যেহেতু এটা দলীয় নির্বাচন নয়, দলীয় কোনো প্রতীক ব্যবহার করছে না। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রার্থীর পক্ষে দলীয়ভাবে প্রচারণা করেত পারে।’ এ নির্বাচনে কত শতাংশ ভোট পড়বে, সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভোটের বিষয়ে এখন কিছু বলা যাবে না। তবে আশা করি জাতীয় নির্বাচনের তুলনায় এবার ভোটারের উপস্থিতি বেশি হবে এবং ভোট স্বচ্ছ ও সুষ্টু হবে।’ চেয়ারম্যান পদে থেকে কেউ নির্বাচন করতে পারবে কি না এর জবাবে সিইসি বলেন, ‘করতে পারবে, তবে তাদের আচারণ বিধিতে আলাদা বাধ্যবাদকতা থাকবে। তারা সরকারি কোনো গাড়ি ব্যবহার করতে পারবে না। আলদা কোনো সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেত পারবে না।’ এ নির্বাচনে জামায়াত অংশগ্রহণ করতে পারবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ নির্বাচনে যেহেতু কোনো দলীয় প্রতীক নেই, দলীয় কোনো লোক নেই, সেহেতু এখানে যে কেউ অংশগ্রহণ করতে পারবে।