ধরপাকড় স্থগিতে মালয়েশিয়ার প্রতি চায়নিজ কমিউনিটির অনুরোধ
কুয়ালালামপুর (মালয়েশিয়া): চীনা নববর্ষ উপলক্ষে মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী শ্রমিকদের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযান স্থগিত করতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে মালয়েশিয়ার চায়নিজ কমিউনিটি (এমসিসি)।
গত সোমবার শুরু হওয়া এ অভিযানে ২৫৫ বাংলাদেশিসহ সহস্রাধিক অবৈধ বিদেশি শ্রমিককে আটক করে মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ। অভিযানে বাংলাদেশ ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, মায়ানমার ও থাইল্যান্ডের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নাগরিককে আটক করা হয়।
আগামী ৩০ জানুয়ারি চীনা নববর্ষ। এ উপলক্ষে মালয়েশিয়ায় দু’দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার ব্যবসা-বাণিজ্যের সিংহভাগই সে দেশের মোট জনসংখ্যার ৩৫ শতাংশ এ চায়নিজ কমিউনিটির নিয়ন্ত্রণে।
বুধবার রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে শাহ আলম শহরে যাওয়ার পথে বিভিন্ন স্থানে যাত্রীদের তল্লাশি করতে দেখা গেছে। তল্লাশির সময় যে সব শ্রমিক বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেন নি তাদের ধরে নিয়ে যায় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা।
ত্রিশ কিলোমিটারের এ যাত্রাপথে মালয়েশিয়ার পুলিশকে ১০০ জনের মতো বিদেশিকে আটক করতে দেখা গেছে।
তবে বুধবারের অভিযানে আটক ব্যক্তিদের মধ্যে বাংলাদেশিদের সংখ্যা ঠিক কত তা জানাতে পারে নি বাংলাদেশ দূতাবাস।
মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম পরামর্শক মন্টু কুমার বিশ্বাস বাংলানিউজকে জানান,
মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ দূতাবাসকে এ বিষয়ে কোনো তথ্য না দেওয়ায় তারা এ বিষয়ে কোনো হালনাগাদ তথ্য দিতে পারছেন না।
মালয়েশিয়া ব্যাপকভাবে বিদেশি শ্রমিকনির্ভর একটি দেশ। ধারণা করা হয়, মালয়েশিয়ায় বর্তমানে ২০ লাখ বিদেশি শ্রমিক বসবাস করেন, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি।
মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকরা বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার থেকে অভিযান শুরুর কথা থাকলেও সোমবার বিকেল থেকেই কুয়ালালামপুরের কোতারায়া বাংলা মার্কেট, চায়না টাউন ও মাইদিন, সেলেঙ্গারার শাহ আলম এবং সুবাংয়ের প্রবাসী শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকায় অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।