হাইকোর্টে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের জামিন
ঢাকা: পুলিশের করা একাধিক মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ কয়েকজন নেতা।
সোমবার পৃথক পৃথক জামিন আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি বোরহান উদ্দিন এবং বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন পৃথক দুটি ডিভিশন বেঞ্চ এ জামিন আদেশ দেন।
জামিনপ্রাপ্তরা হলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আমানউল্লাহ আমান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মিজানুর রহমান মিনু।
সন্ত্রাস বিরোধী আইনে রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে জামিন চান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুনানি শেষে বিচারপতি বোরহান উদ্দিন ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিকে হাইকোর্টের এই বেঞ্চ থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে বিভিন্ন মেয়াদে জামিন পেয়েছেন। এর মধ্যে মির্জা আব্বাস, আমানউল্লাহ আমান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় রমনা থানার তিন মামলা ও শাহবাগ থানার এক মামলায় আট সপ্তাহের জামিন লাভ করেছেন।
এই চার মামলা ছাড়াও আমান কেরাণীগঞ্জ থানার ২ মামলা ও সাভার থানার তিন মামলায় চার সপ্তাহ করে জামিন লাভ করেন। হরতাল-অবরোধ ও মার্চ ফর ডেমোক্রসি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বাসে অগ্নিসংযোগ ও হতাহতের ঘটনায় এসব থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে একাধিক মামলায় বিএনপি নেতাদেরকে আসামি করা হয়।
হাইকোর্টে নেতাদের জামিন আবেদনের শুনানিতে অংশ নেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন ও সগীর হোসেন লিয়ন প্রমুখ।
চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানার দুটি মামলায় চার সপ্তাহের জামিন পেয়েছেন বিএনপি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বিচারপতি বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ তার জামিন মঞ্জুর করেন। তার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা।
এছাড়া রাজশাহীতে পুলিশ হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দায়েরকৃত পৃথক দুটি মামলায় বিএনপি নেতা ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনুকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর বেঞ্চ এ আদেশ দেন।