দুপুরে উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা
ঢাকা: মেয়াদোত্তীর্ণ এবং চলতি মাসে মেয়াদ শেষ হবে এমন উপজেলা পরিষদের নির্বাচন নিয়ে বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রোববার দুপুর ১২টায় ইসির সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক শুরু হয়। ইসি সূত্র জানিয়েছে, বিশেষ এ বৈঠক শেষে উপজেলা নির্বাচনের তফসিল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল মোবারক, আবু হাফিজ, জাবেদ আলী, শাহ নেওয়াজ ও নির্বাচন কমিশন সচিব ড. মোহাম্মদ সাদিক।
তবে শনিবার ইসি সূত্র জানিয়েছিলো, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের যেকোনো দিন উপজেলা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হতে পারে।
নির্বাচন কমিশনার শাহ নেওয়াজ বাংলানিউজকে জানান, রোববার নির্বাচন কমিশনের সভা শেষে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। মোট ৪৮৭টি উপজেলার মধ্যে ১১৩টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে এদিন।
ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে উপজেলার মেয়াদোত্তীর্ণ হতে চলেছে এমন ৪০টি উপজেলার ভোটার তালিকাও প্রস্তুত রয়েছে। পর্যায়ক্রমে আনুষঙ্গিক কাজগুলো গুছিয়ে নেওয়া হবে।
দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তা জোরদারে এবার একাধিক দিন বা অন্তত সাতদিন ধরে ভোট করার পরিকল্পনার কথা জানান এ নির্বাচন কমিশনার।
তিনি আরও জানান, দেশের ৪৮১টি উপজেলার নির্বাচন ফেব্রুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ হবে।
এর আগে, ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি একযোগে একই দিনে ভোট করে এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন ইসি।
ফেব্রুয়ারি মাসে ১১৫টি, মার্চে ২২৩টি, এপ্রিলে ৩৫টি, মে মাসে ৮৫টি ও জুন মাসে ১৮টি উপজেলার মেয়াদ উত্তীর্ণ হচ্ছে। বাকিগুলো জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে উত্তীর্ণ হবে।
ইসি সচিবালয় জানায়, তফসিল ঘোষণার আগে প্রস্তুতিমূলক কাজ সম্পন্ন করতে ৪৫দিন লাগবে। তফসিল ঘোষণা একদিন, মনোনয়ন দাখিল ১৫ দিন, বাছাই দু’দিন, বাছাইয়ের পর আপিল তিনদিন, আপিল নিষ্পত্তি তিনদিন, প্রত্যাহার একদিন, প্রচারণা ও ব্যালট পেপার মুদ্রণ ২৭ দিন এবং ভোটের জন্য একদিন লাগবে।