তারেকের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণ, আত্মসমর্পণের নির্দেশ
ঢাকা: অর্থপাচারের অভিযোগে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিচারিক আদালতের খালাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আপিল গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে তারেক রহমানকে নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদালত বলেছেন, সেখানে তিনি জামিন চাইতে পারবেন।
রোববার বিচারপতি মো. নিজামুল হক ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আপিল গ্রহণ করে এ আদেশ দেন। এছাড়া বিচারিক আদালতের মামলার নথি তলব করা হয়েছে।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
প্রসঙ্গত, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে খালাস দিয়ে গত ১৭ নভেম্বর রায় দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক মো. মোতাহার হোসেন। একই মামলায় তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ৪০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলা করে দুদক। ২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক রহমান ও মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তারেক রহমানকে পলাতক দেখিয়ে অভিযোগ গঠন করা হয়।
তারেক রহমান বর্তমানে বৃটেনে আছেন। চিকিৎসার জন্য ২০০৮ সালে তিনি উচ্চ আদালতের অনুমতি নিয়ে ওই দেশে যান। পরে তার জামিন বাতিল করে এই মামলায় আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন দেয়া হয়। তিনি না আসায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয়। পরে পলাতক ঘোষিত হওয়ায় আইন অনুযায়ী তার পক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।