তিল ধারণের ঠাঁই নেই বার্ন ইউনিটে
ঢাকা: শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বার্ন ইউনিটে আগুনে দগ্ধ রোগীর চাপও বেড়েছে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে তীব্র শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসার জন্য ঢামেকে ছুটে আসছেন মানুষ।
ঢামেক বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল বলেন, বর্তমানে আমাদের বার্ন ইউনিটে ৩৫১ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। গত কয়েক মাসের সহিংসতায় দগ্ধ রোগীর পাশাপাশি তীব্র শীতে আগুনে ঝলসানো রোগী এতটাই বেড়েছে যে হাসপাতালে বেড দেয়া কঠিন হয়ে পড়ছে।’
তিনি আরো জানান, ‘অধিকাংশই আগুন পোহানো কিংবা গরম পানিতে ঝলসে যাওয়া রোগী। এদের মধ্যে ব্য়ষ্ক ও শিশু রোগী বেশি। রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। রোগী অনুযায়ী আমাদের পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স নেই।’
রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য জেলায় বার্ন ইউনিট থাকা সত্ত্বেও সবাই উন্নত চিকিৎসা পাওয়ার আশায় ঢাকা ছুটে অঅসে বলেও তিনি জানান।
এ ব্যাপারে বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক ডা. হেদায়েত আলী খান বলেন, ‘আমাদের দেশে প্রতিবছর শীত আসলে এ ধরনের ঘটনা বেড়ে যায়। প্রতিটি জেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে লিফলেট বা পোষ্টার তৈরি করে জনগণের কাছে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে পারলে অনেকাংশে এ ধরনের ঘটনা কমে যাবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সবাই সচেতন হলে এ ধরনের ঘটনা কমে যাবে।’