৫ মন্ত্রী-প্রতমিন্ত্রীর উন্নয়নরে প্রতীক্ষায় দক্ষণিাঞ্চলবাসী
ঝালকাঠি: দশম জাতীয় সংসদের মন্ত্রিসভায় দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ ও জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুসহ পাঁচজন মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন। এতে আগামী পাঁচ বছরে দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে বলে আশা করছেন সেখানকার সাধারণ মানুষ।
নবম জাতীয় সংসদে দক্ষিণাঞ্চলের আমু-তোফায়েলের মতো নেতারা মন্ত্রিসভায় ঠাঁই না পাওয়ায় দীর্ঘদিন আশাহত ছিল সেখানকার মানুষ। তাই দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই আওয়ামী লীগসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল দক্ষিণাঞ্চল থেকে কে কে এবারের মন্ত্রিসভায় স্থান পাবেন। ফলে অঞ্চলটি থেকে পাঁচজন সাংসদ মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়ায় অঞ্চলটির উন্নয়নের আশায় বুক বেঁধেছে ঝালকাঠিসহ পুরো দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ।
রোববার বিকেলে গণভবনে মন্ত্রী হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করার পর থেকে উৎসাহ ও উদ্দীপনায় এ অঞ্চলের সাধারণ জনগণ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু শিল্পমন্ত্রী, তোফায়েল আহম্মেদ বাণিজ্যমন্ত্রী ও সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী, ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী এবং ভোলার নতুন সাংসদ আবদুল্লাহ ইসলাম জ্যাকবকে পানি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক সরদার মো. শাহ আলম তার প্রতিক্রিয়ায় নতুন বার্তা ডটকমকে জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন এই অঞ্চলের মানুষ আমির হোসেন আমু সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাবেন এমন আশা করে আসছিলেন। জনগনের সে আশারই প্রতিফলন ঘটেছে।
ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ঝালকাঠিবাসীর প্রাণের দাবি ছিল আমু ভাই মন্ত্রী হবেন। তিনিই এই অঞ্চলের উন্নয়নের রূপকার। তিনি এর আগেও মন্ত্রী থাকাকালীন এলাকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক উন্নয়ন করেছেন। নতুন মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর তার দায়িত্ব আরও বেড়ে যাবে। আমরা আশা করছি এখানকার উন্নয়ন এখন থেকে আরো বেশি করে হবে।”
শুধু যে সরকারদলীয় সংগঠনগুলোরই প্রত্যাশার ভার বহন করছেন এই মন্ত্রীরা, তাই নয়। দল-মত নির্বিশেষে অনেকেই স্বাগত জানিয়েছেন তাদের।
অভিনন্দন জানিয়েছেন ঝালকাঠি জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নূপুর। তিনি বলেছেন, “উন্নয়নের স্বার্থে তারা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছেন। আমরা চাই তারা আমাদের আশার প্রতিফলন ঘটাবেন