চবিতে শিবির-ছাত্রলীগ সংঘর্ষে নিহত ৩
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিবির ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষে তিন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ২০ জন। এর মধ্যে দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আহতদের মধ্যে দুজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন, রকি ও মামুন হোসেন নামের দু’জনের নাম পাওয়া গেছে। নিহতকে শিবির নিজেদের কর্মী বলে দাবি করছে।
চবির শাহ আমানত হলে রোববার বিকেলে ৫টার দিকে তৃতীয় দফায় শুরু হওয়া এ হামলায় এ ঘটনা ঘটে। হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাঈল হোসেন সরাসরি নিহতের খবর নিশ্চিত না করলেও আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনজনকে চমেক হাসপাতালে পাঠানোর খবর কথা জানিয়েছেন।
তবে প্রতক্ষ্যদর্শী সূত্র মতে, আহত এই তিনজন সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মারা যান। তাদের চাদর মুড়িয়ে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চমেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘চবিতে সংঘর্ষের ঘটনার কয়েকজন নিহতের খবর শুনেছি। তবে কেউ এখনো মেডিকেলে আসেনি।’
পুলিশ ও প্রতক্ষ্যদর্শী সূত্র জানায়, রোববার দুপুর ১টার দিকে শাহ আমানত হলের সামনে শিবির ও ছাত্রলীগের মধ্যে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। তবে বিকেল ৫টার দিকে আবার সংঘর্ষ শুরু হয়।’
দুপুরের সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাটহাজারি সার্কেলের এএসপি নিজামুদ্দিন।
বেলা ৩টার দিকে তিনি জানান, ‘সংঘর্ষ থেমেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে ১২ রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করতে হয়।’
ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান এএসপি।
তবে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ওসি ইসমাঈল হোসেন বলেন, ‘এখনো অভিযান চলছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনজনকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ এ পর্যন্ত শিবিরের ১৮ জনকে আটক করেছে।’
এর আগে চবি ছাত্রলীগ শাখার দপ্তর সম্পাদক জালাল উদ্দিন সুমনের পায়ের রগ কাটার জের ধরে গত রাতেও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ছাত্রলীগ এবং শিবির।
গত রাতের ঘটনার প্রতিবাদে রোববার দুপুর ১টার দিকে ক্যাম্পাসে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্রলীগ। শাহ আমানত হল থেকে এ সময় মিছিলটি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে শিবির কর্মীরা। ছাত্রলীগও পাল্টা গুলি শুরু করলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছুলে ত্রিমুখী সংঘর্ষ শুরু হয়