ইসলামী ঐক্যজোটসহ ১৮ দলের তিন নেতাকে টোপ?
ঢাকা: বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের শরিক তিনটি দলের শীর্ষস্থানীয় তিন নেতাকে নতুন সরকারের মন্ত্রিসভায় টানার চেষ্টা চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এরই মধ্যে ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সরকারে যোগ দিতে অনানুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো নেতাকে মামলার ভয় দেখিয়ে চাপও দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
অবশ্য এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান (পার্থ) গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘বন্ধু-বান্ধবদের মাধ্যমে আমিও এ ধরনের কথা শুনেছি। তবে, মনে হয় আমি আমার অবস্থান তাঁদের কাছে পরিষ্কার করতে পেরেছি। যে চিন্তা নির্বাচনের আগে করিনি, এখন এ ধরনের চিন্তা করার প্রশ্নই আসে না।’
১৮-দলীয় জোটের শরিক ইসলামী ঐক্যজোটের শীর্ষস্থানীয় একজন নেতাকেও মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে টোপ ও চাপ দেওয়ার বিষয়টি দলটির একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। ইসলামী ঐক্যজোট কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের সঙ্গেও সরাসরি সম্পৃক্ত। হেফাজতের নীতিনির্ধারণেও দলটির প্রভাব রয়েছে।
দলটির দায়িত্বশীল দুজন নেতা জানান, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর থেকে এ পর্যন্ত দুবার তাঁদের দলের প্রধানের সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়। তিনি মন্ত্রিত্বের প্রস্তাবে নিমরাজি মনোভাব দেখান। মন্ত্রিসভায় যোগ না দিলে ওই নেতাকে মামলার ভয়ও দেখিয়ে চাপ দেওয়া হয়। এ অবস্থায় ইসলামী ঐক্যজোটের ওই নেতা সরকারের প্রস্তাবের বিষয়ে দলের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য সময় নিয়েছেন।
দলীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, এ নিয়ে ইসলামী ঐক্যজোটের নীতিনির্ধারকেরা গত শুক্রবার বৈঠক করে সিদ্ধান্ত দিয়েছে যে তারা সরকারে যোগ দেবে না। এর আগে দলটিকে নির্বাচনে নিতেও সরকারের একটি সংস্থা চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় বলে জানা গেছে।
মন্ত্রিত্বের প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসলামী ঐক্যজোটের দায়িত্বশীল একজন নেতা প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকারের পাঠানো ওই কর্মকর্তাকে আমরা বিনয়ের সঙ্গে বলেছি, আমাদের কেউ মন্ত্রী হলে সরকারের কোনো উপকারে আসবে না। কারণ সরকারের বিরুদ্ধে যে জনস্রোত তৈরি হয়েছে, তা আমাকে দিয়ে ঠেকানো যাবে না।’
সরকারের এই তৎপরতার বিষয়ে দলীয় অবস্থান ও বক্তব্য জানার জন্য চেষ্টা করেও গত রাতে এলডিপির সভাপতি অলি আহমদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
এ বিষয়ে সরকার পক্ষেরও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।